মুশতাক আহমেদ: আমি এখানে এসেছি পার্থক্য গড়তে

মুশতাক আহমেদ আসবেন, তাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলায় সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের সরব উপস্থিতি। সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছে জানা গেল, পাকিস্তানের সাবেক এই লেগ স্পিনার ইতোমধ্যেই নতুন দফতরে (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) যোগ দিয়েছেন এবং প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরেজে করণীয় নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে সভাও করেছেন। এবং ঠিক ওই সময়ে তার দিনের দ্বিতীয় সভাটি চলছিল নির্বাচক মন্ডলীর সঙ্গে।

মুশতাক আহমেদ

সেটা শেষ হতে দুপুর দেড়টা। এরপর বিসিবির কর্পোরেট অফিস থেকে বেরিয়ে এলেন, শের-ই-বাংলার বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমের সামনে। উপস্থিত সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা ভেবেছিলেন, অন্যান্যদের মত তিনিও তাদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলবেন, জানাবেন নিজ অনুভূতি এবং কারণীয়। না, তা হয়নি। তবে কথা বলেছেন বিসিবির মিডিয়া বিভাগের সঙ্গে, যেখানে ব্যক্ত করেছেন নিজের কোচিং দর্শন।

তিনি বলেছেন, ‘প্রথমত, আমি বিশ্বাস করি যে, কোচ হিসেবে আমাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি এখানে এসেছি পার্থক্য গড়তে। ইনশাল্লাহ পার্থক্য গড়ব স্পিন বিভাগে। আমার যে অভিজ্ঞতা আছে এত বছরের, তা ভাগাভাগি করতে পারব তরুণ ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে। আশা করি, আমরা পার্থক্য গড়তে পারব।’

সেই কাজটি সুষ্ঠুভাবে করতে তাকে খুব একটা কাঠ-খড়ি পোড়াতে হবে না বলেও বিশ্বাস করেন ইংল্যান্ডের সাবেক এই কোচ। ‘আমি বিশ্বাস করি, যাদেরকে কোচিং করানো সম্ভব, তাদেরকেই কেবল কোচিং করানো যায়। এখানকার তরুণরা দারুণ প্রতিভাবান। আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি, দলটা দারুণ প্রতিভাবান ও সব দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’

কোচিংয়ের মূল কাজটি জাতীয় দলের সঙ্গে হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের হয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন মুশতাক। ‘এশিয়ায় ক্লাব ক্রিকেটে, নেট অনুশীলনে সবসময়ই লেগ স্পিনার, রহস্য স্পিনার, চায়নাম্যান বোলার দেখতে পাওয়া যায়। আশা করি, আমার অভিজ্ঞতা সেখানে কাজে লাগবে এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারব অনেক। ক্লাব ক্রিকেট ও প্রথম শ্রেণির কোচদের সঙ্গে দেখা করতে পারি এবং চেষ্টা করতে পারি ভালো লেগ স্পিনার বা চায়নাম্যান বোলার বের করে আনতে। কারণ এখন সাদা বলের ক্রিকেটে মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট শিকারি স্পিনার লাগেই। রহস্য স্পিনারদের বের করে আনা গুরুত্বপূর্ণ এবং আশা করি, আমরা পারব।’

কোচ হিসেবে প্রথম  হলেও খেলোয়াড়ি জীবনে আগেও এসেছেন ৫৩ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি। প্রথমবার, ১৯৯৪ সালে দলের হয়ে বাংলাদেশে এসে দুটি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। আর সব শেষ বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৯৮ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে খেলতে।