ইসরায়েলি ‘অসাধারণ উদার’ প্রস্তাব আটকে আছে হামাসের ২ দাবিতে!

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে কয়েকটি দেশ। তারা উভয়ের টেবিলেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এ প্রস্তাবকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ‘অধারণত একটি প্রস্তাব হিসেবেও উত্থাপন করলেও হামাস এখনই তাদের এই প্রস্তাবে সায় দিচ্ছে না। তারা বলছে, তাদের দুটি দাবি মানা না হলে এ প্রস্তাবে তারা সম্মতি দেবে না। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েল।

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, মধ্যস্ততাকারীরা যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা নিয়ে তারা আলোচনা করছেন। কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্ত দুটি না মানলে তারা কোনো প্রস্তাবই মেনে নেবে না।

বর্তমান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে গাজা থেকে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের কারাগার থেকে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তির কথাও প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে

সৌদি রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সভায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করেছিলেন, ইসরায়েলি প্রস্তাবটি ‘অনন্য অসাধারণ ও উদার’ এটি প্রস্তাব। গাজার জনগণ ও যুদ্ধবিরতির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা একমাত্র বিষয়টি হচ্ছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চাইলে এ ব্যাপারে তাদের দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি আশাবাদী, এ বিষয়ে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

অন্যদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও ইসরায়েলি প্রস্তাবকে উদার আখ্যায়িত করে বলেন, এ চুক্তিতে ৪০ দিনের বিরতি এবং সম্ভাব্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর পাশাপাশি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। মধ্যস্ততাকারী মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, নতুন প্রস্তাবের ব্যাপারে তারা বেশ আশাবাদী।

তবে এই প্রস্তাবে পরিপ্রেক্ষিতে হামাসের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান বলেছেন, গাজায় হামলা বন্ধ করাটা কোনো উদারত্বের বিষয় নয়। তাদের এই হামলাটিই একটি অপরাধ। আর কেউ কোনো অপরাধ বন্ধ করে দিলে সেটাকে উদার কোনো কিছু বলা যাবে না। তাই আপনারা দাবি করতে পারবেন না, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একটি উদার কাজ।

তারা বরং বলছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্ত না মানলে তাদের পক্ষে কোনো প্রস্তাবই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিষয়টি এখন হামাসের হাতে। তারাই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং গাজার বেসামরিক লোকদের স্বস্তি দেওয়ার পথে এই মুহূর্তে একমাত্র প্রতিবন্ধক। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তি হলে তারা যুদ্ধবিরতির ওই চুক্তির শর্তাবলী পূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করবেন।