বৈষম্যে বিশ্বাসী নয় আইসিসি

মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানির সমান হবে, এই ঘোষণা গেল বছরের জুলাইয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনেই দিয়েছিল আইসিসি। সেটাই আবার উল্লেখ করলেন সংস্থাটির নির্বাহী প্রধান জিওফ অ্যালার্ডিস। মাঠের ক্রিকেট বিশেষ করে বৈশ্বিক আসরের প্রাইজমানির ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বৈষম্য তারা আর রাখতে চাইছে না।

জিওফ অ্যালার্ডিস

রোববার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এই অস্ট্রেলিয়ান বলেন, ‘প্রতিটা অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়রা বিভিন্ন রকম অংকে ম্যাচ ফি পেয়ে থাকে। তবে আমি যদি প্রাইজ মানির কথা বলি, পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জয়ী দল যে পরিমান প্রাইজমানি পাবে, অংকটা খুব সহজ। নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলও সমান অর্থ পাবে। যারাই জিতবে তারাই সমান সমান অর্থ পাবে, কোন দল প্রতিটা ম্যাচ জেতার জন্য সমান অংকের টাকা পাবে। এখানে কোন আয় বৈষম্য নেই।’

এ সময় তিনি হতাশা প্রকাশ করনে আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেট দল না থাকাও নিয়েও। দেশটির ছেলে দল বিশ্ব ক্রিকেটে যত্রতত্র হুঙ্কার ছাড়লেও আজ অবধি  একটি নারী দল তৈরি করতে পারেনি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আর এর পেছেনে দায়ী স্রেফ দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা। তবে অ্যালার্ডিস বলছেন, পুরো বিষয়টিই আইসিসি ছেড়ে দিয়েছে তাদের বোর্ডের ওপর, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সদস্য আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নারী দল তৈরি করতে পারছে না। আর কিছু বদল না আসা পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই থাকবে। এমনও না যে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আগে নারী ক্রিকেট দল করেনি, তারা কেবল এই সময়ে এসে পারছে না।’

৩ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলায় পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। আসরের অপর ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। টুর্নামেন্ট চলাকালীন দুই ভেন্যুতেই দর্শকপূর্ণ গ্যালারি প্রত্যাশা করছেন আইসিসির সিইও। ‘আমার মনে হয় এটা একটা দারুণ সুযোগ অক্টোবরে টুর্নামেন্টের সময় মাঠ ভর্তি করার। এখানে যে অধিনায়করা আছে তারা বিভিন্ন দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। কিছু বড় ম্যাচে ও ফাইনালে আমাদের অভূতপূর্ব দর্শক সাড়া ছিল। একটা জিনিস আমরা এবার দেখতে চাই, পুরো ২৩ ম্যাচ ধরেই দর্শক থাকবে।’

‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ ও এখানে ক্রিকেটের প্রতি যে প্যাশন, ওরকম কিছু করার সুযোগ আছে। আমাদের দর্শক উপস্থিতি বাড়াতে হবে। শেষ ছয় বা সাত বছরে আমরা দারুণভাবে এগিয়ে গেছি। আমার মনে হয় অক্টোবরের এই বিশ্বকাপ মেয়েদের বড় ইভেন্টে দর্শক পূর্ণ করার পরের পদক্ষেপ হতে পারে।’-যোগ করেন অ্যালার্ডিস।