সাকিবও এমন হারের উত্তর খুঁজে পেলেন না

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হেরে উত্তর খুঁজে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ছয় রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এখন শেষ ম্যাচে টাইগারদের মান বাঁচানোর লড়াই। নয়তো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা অপেক্ষা করছে। সাকিব ম্যাচ শেষে ভাল খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রেডিট দেন। আর টপ অর্ডার ব্যাটাররা কেন ব্যর্থ এই উত্তর দিতে পারলেন না।

সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

খেলা শেষে বেশ নিরস বদনে হাজির হন সাকিব। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেছেন, ‘ আসলেই হতাশার। আমরা এমনটা আশা করি নাই। ক্রেডিট ইউএস টিমকে দিতে হয় কারণ তারা যেভাবে খেলেছে।’ সাকিব অবশ্য টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণ জানেন না বলে এড়িয়ে যান, ‘ আমি বলতে পারব না। এটার উত্তর আমার কাছে নাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে সামনে নিজেদের সংশোধন করতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে জেগে উঠতে পারে টাইগাররা এমন বিশ্বাস অনেকের। সাকিব এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ সেটা তো বলতে পারবো না। হারাটা আমাদের জন্য হতাশার। সেটা যে কোনো ম্যাচেই। যেটা বললাম যে আমরা আশা করি নাই যে দুইটা ম্যাচ হেরে যাব, সেখান থেকে তো আসলেই হতাশার আমাদের জন্য।’

বাংলাদেশ এর আগে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরেছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরের দুটি ম্যাচেও একই ফল। সামনে বিশ্বকাপ। দলের মানসিক পরিস্থিতি কেমন? সাকিব বেশ চটে গেলেন। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ এটা তো আমি জানি না। আমি জানলে টিমকে বলতাম তাহলে রেজাল্ট অন্যরকম হতো। বিশ্বকাপে প্রভাব অবশ্যই পড়তে পারে আবার নাও পড়তে পারে।’

সাকিব মনে করেন, বিশ্বকাপের আগে আরও বেশি ব্যাটিং ও বোলিং সেশন হওয়া দরকার ছিল। এ ব্যাপারে তার প্রত্যাশা অন্যরকম, ‘ আমরা যদি এটাকে (যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে) প্রিপারেশন সিরিজ হিসাবে ধরে থাকি তাহলে আরও ব্যাটিং ও বোলিংয়ের অনেক বেশি সেশন হওয়ার দরকার ছিল। ফ্যাসিলিটিও থাকার দরকার ছিল। যেগুলোর কিছুই আমরা পাইনি। আমাদের একদিন নেট সেশন হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যাটিং করতে পারেনি। একদিন ছিল অপশনাল সেখানে ব্যাটসম্যানরা সুযোগ নেয়নি। এখানে চারটা মাঠ আছে। আমরা তিনটা পিচে ট্রেনিং করার সুযোগ পেয়েছি একদিন।’