আমীর খসরু: যেভাবে কোটার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, ভোটের জন্যও করতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকার বাংলাদেশকে মেধাবীদের রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না। মেধাবীরা ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতি সমর্থন নাও জানাতে পারে। তাই তাদের ভোটের অধিকারের জন্য যেভাবে কোটার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, ঠিক সেভাবেই লড়াই করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য তাদের সংগ্রাম করতে হবে।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এক বছর আগে ঘোষিত ৩১ দফা এবং ১ দফার যুগপৎ আন্দোলনের বার্ষিকী উপলক্ষে গণতন্ত্র মঞ্চ এই সভার আয়োজন করে।

আমীর খসরু বলেন, দেশের মালিকানা জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই মালিকানা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য এবং রাজনৈতিক সমাধান অপরিহার্য। সংবিধান, বিচার বিভাগ, সংসদ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা জরুরি। ৩১ দফার লক্ষ্যই হলো এসব।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর মধ্যে ঐক্য নিয়ে কারো মনে কোনো সন্দেহ নেই। এই ঐক্যের পিছনে অনেক দৃঢ়তা এবং প্রচেষ্টা রয়েছে। আমরা এখনও ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সম্পূর্ণ সফল হইনি। জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর, জনগণ পরিবর্তন দেখতে পাবে। ৩১ দফায় এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সভার সভাপতি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৩১ দফা হলো ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপরেখা। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এরই মধ্যে আন্দোলনে নেমে পড়েছে। এই সংগ্রাম ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রসমাজকে আদালতের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে ফেলছে। জনগণ এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য একটি ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বিরোধী দলগুলোর দিকেই তাকিয়ে আছে।

বক্তারা বলেন, এক দফার আন্দোলন চলমান। ৭ জানুয়ারির পর এই আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। তারা আরও বলেন, জনগণ যে ধরনের কর্মসূচি বিরোধী দলগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশা করে, খুব শীঘ্রই সরকারবিরোধী তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দেখতে পাবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুষারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, জাসদের সহ-সভাপতি তানিয়া রাব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান প্রমুখ।