ওমানে শিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে গুলি, ৪ পাকিস্তানি নিহত

ওমানের রাজধানী মাসকাটে একটি শিয়া মসজিদের প্রাঙ্গণে বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। হতাহতরা সবাই পাকিস্তানি নাগরিক। আজ মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজের পর এ গুলির ঘটনা ঘটেছে। খবর গালফ নিউজ ও ভয়েস অব আমেরিকার।

মাসকাটে মসজিদ প্রাঙ্গণে গুলির ঘটনা তদন্ত করছে ওমান পুলিশ

ওমানের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওয়াদি আল কবির এলাকায় ইমাম আলী মসজিদ প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওমান রয়্যাল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে চার পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত আরও অন্তত ৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওমানি পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ওমানে ইসলামাবাদের রাষ্ট্রদূত ইমরান আলী। আহতদের দেখতে অন্তত চারটি হাসপাতালে যান তিনি। ইমরান আলী বলেন, আমি কয়েকটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছি। আহতরা সবাই আশঙ্কামুক্ত। ওমানি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা পাকিস্তানি বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

গোলাগুলির ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাতে দেখা গেছে, ফজরের নামাজের সময় শিয়া মসজিদটিতে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছেন। হঠাৎ করেই গুলির শব্দ শোনা যায় এবং আতঙ্কিত লোকজন ছুটোছুটি করছেন। অনেকে মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। গুলির শব্দের মধ্যেই পুলিশের সাইরেন শোনা যায়।

ওমানে এ ধরনের সহিংস হামলার ঘটনা খুবই বিরল। সুন্নি অধ্যুষিত দেশটিতে কে বা কারা শিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে বা কেন এ হামলার ঘটনা ঘটলো, তা নিশ্চিত নয়।

এদিকে শিয়া মসজিদে ওই হামলার পর মাসকাটে নিজেদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা সতর্কতা জারির পাশাপাশি এদিন সব ধরনের ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে ওমানে চলাচল করতে হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ওমানের জনসংখ্যা ৪০ লাখের সামান্য বেশি, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিক। হতাহত পাকিস্তানিদের বেশির ভাগই প্রবাসী শ্রমিক।