বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সিলগালা

বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডিবি পুলিশ অপরাধের স্থান চিহ্নিত করে ‘প্রবেশ নিষিদ্ধ’ লেখা টেপ লাগিয়ে দিয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএনপির কার্যালয়ের ভাঁজযোগ্য ফটক বাইরে থেকে লক করা অবস্থায় পাওয়া যায়।

ছবি - সংগৃহীত

বিএনপি কার্যালয়ের চারপাশে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পায়চারি পথে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাদের কার্যালয় থেকে তাড়িয়ে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পরে অভিযান চালায়। তারপর থেকে আমরা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছি না, পুলিশ কার্যালয়ের সামনে নিরাপত্তার টেপ লাগিয়ে দিয়েছে।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে, ঢাকাসহ, সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পুলিশ ও সরকারী দলের সংগঠনগুলির মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, কার্যালয়ের সামনে কিছু ঘটনায় বোমা বিস্ফোরণের পর বুধবার ভোরে পুলিশ বিএনপির কার্যালয় অভিযান চালায়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ডিবি পুলিশের একটি দল রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে অভিযান চালিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং আরও ছয়জনকে আটক করে।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ দাবি করেন যে, তারা বিএনপি কার্যালয়ের টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণে কাঁচা বোমা এবং বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে এবং শ্রাবণসহ সাতজনকে করে।

অন্যদিকে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন যে, সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় অভিযান চালিয়েছে।

তিনি ডিবি পুলিশের তাদের কার্যালয়ে অভিযানকে একটা অপকর্ম এবং বিপজ্জনক নাটক বলে অভিহিত করেছেন।

বিএনপি নেতা বলেন, লোকজনকে বিভ্রান্ত করার জন্য পুলিশ মধ্যরাতে তাদের খালি কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটা নাটক সাজিয়েছে। আগেও তারা এটা করেছে। তারা মধ্যরাতে কাপুরুষের মতো করে আমাদের কার্যালয়ে প্রবেশ করে লোকজনকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

রিজভী দাবি করেন যে, পুলিশ কর্মীদের বা পুলিশ সুরক্ষার আড়ালে সরকারী দলের লোকজন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কাঁচা বোমা ছুড়ে অভিযানের ভিত্তি তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের অ্যান্টি কোটা আন্দোলনের মধ্যে ভয় ছড়ানোর জন্য পুলিশ বিএনপি কার্যালয় অভিযান চালিয়েছে।