বিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে আজ সকালে রয়টার্সকে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ওয়াশিংটন থেকে রয়টার্সকে জয় বলেন, ‘আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো পদত্যাগ করেননি। তার সময় হয়নি।’

sheikh hasina and sajeeb wazed joyশেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়

‘তিনি একটা বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এরপরই বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল বের করতে শুরু করে। আর সময় হয়নি। আমার মা তো প্রস্তুতিও গোছাননি। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’

সামরিক প্রধান ও বিরোধী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি যদিও সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ছাড়াই নির্বাচনী সরকার গঠন ‘আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে’ বলে জানান জয়।

তিনি আরও জানান, হাসিনার আওয়ামী লীগ দল পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যা তিন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

‘আমার বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। যদি তা না হয়, আমরা বিরোধী দলে থাকব। যে কোনোভাবেই ঠিক আছে,’ তিনি বলেন।

বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার এক সাম্প্রতিক বক্তব্যে কোনো প্রতিশোধের কথা বলা হবে না, এটি তাকে উৎসাহিত করেছে বলেও জয় জানান।

‘খালেদা জিয়ার বক্তব্যটা শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি, যা হয়েছে তার অতীত ঘটনাগুলো ভুলে যাওয়ার জন্যে,’ জয় বলেন।

‘চলো অতীত ভুলে যাই। চলো প্রতিশোধের রাজনীতি অনুসরণ করব না। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, সেটা ঐক্য সরকার থাকুক বা না থাকুক।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক... বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে যাতে ভবিষ্যতে আমরা শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র পাই যেখানে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’

রাজনীতি ও আলোচনা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্বাস করেন জয়। তিনি বলেন, ‘আমরা তর্ক করতে পারি। আমরা মতবিরোধে একমত হতে পারি। এবং আমরা সবসময়ই একটা সমঝোতা খুঁজে বের করতে পারি।’

তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে দলের প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার মা তো এই মেয়াদের পর অবসর নিতে যাচ্ছিলেনই। যদি দল চায়, হয়তো। আমি অবশ্যই বিষয়টি ভাবব।’

দেশের যুবকদের দাবি অনুযায়ী, তার মা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানান জয়।

তিনি বলেন, ‘আমার মা ভুল কিছু করেননি। তার সরকারে কেউ যদি অবৈধ কাজ করে থাকে, তাতে আর আমার মা তাদের আদেশ দিয়েছেন এমনটি নয়। এর মানে এই নয় যে, তার জন্য আমার মা দায়ী।’

বিক্ষোভের সময় গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারে কে দায়ী, সে বিষয়েও জয় কিছু বলেননি।

জয় বলেন, ‘একটা সরকার খুবই বড় একটা যন্ত্র। যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আমার মা অবশ্যই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর জন্য কাউকে আদেশ দেননি। পুলিশ সহিংসতা থামানোর চেষ্টা করেছিল, তবে কিছু পুলিশ অফিসার অত্যধিক বল প্রয়োগ করেছিল।’

‘আমি সেই কথোপকথনে ছিলাম, আমি আমার মাকে বলেছিলাম, আমাদের অবিলম্বে (আমাদের ছাত্র সংগঠনকে) আক্রমণ না করার জন্য, সহিংসতা বন্ধ করার জন্য বলতে হবে,’ তিনি বলেন।

‘আমরা ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা পুলিশ অফিসারদের সাসপেন্ড করেছি। আমরা যা পারছিলাম সব করেছি।’

তিনি জানিয়েছেন, তিনি যখনই চাইবেন তখন দেশে ফিরে আসবেন।

‘আমি কখনো অবৈধ কিছু করিনি। তাহলে কেউ আমাকে আটকাবে কীভাবে?’ তিনি বলেন।

‘রাজনৈতিক দলগুলো কোথাও যাচ্ছে না। আপনি আমাদের ছেঁটে ফেলতে পারবেন না। আমাদের সহযোগিতা ছাড়া, আমাদের সমর্থকদের ছাড়া, আপনি বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারবেন না,’ যোগ করে জয়।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.