ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে ঋণখেলাপি ঘোষণা!

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার প্রকল্পে ব্রিজ ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য নেওয়া ১০৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ওরিয়নের লোগো

সোনালী ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক ফাইন্যান্সিং রিপোর্ট পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পারে যে, ওরিয়ন তাদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে, সোনালী ব্যাংককে বকেয়া ঋণখেলাপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার এবং ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য আপডেট করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর ফলে, ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সভাপতি মোহাম্মদ ওবায়দুল করিমসহ অন্যরা ঋণখেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার প্রকল্পের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ব্রিজ ফাইন্যান্সিংয়ে প্রদত্ত ঋণের অবশিষ্ট অংক ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ১০৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৪টি কিস্তির টাকা বকেয়া থাকায় এই ঋণখেলাপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল।

তবে, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মে ২০২৪ সালের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ঋণটি খেলাপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়নি। কিন্তু জুলাই মাসে মাত্র ২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় এবং ১৫.২৮ কোটি টাকার ১৫টি চেক প্রদান করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে পাশ হয়নি।

ঋণের টাকা পরিশোধে টালবাহানা এবং ৫টি কিস্তি (৩০ মাসের সমান) বকেয়া থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনালী ব্যাংককে সম্পূর্ণ ঋণখেলাপি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের সম্পূর্ণ অর্থ ঋণ হিসেবে ব্যাংক থেকে নেওয়া হয়েছিল। ফ্লাইওভার প্রকল্প থেকে উপার্জন হওয়া টোল থেকেও ব্যাংকগুলো কোন লভ্যাংশ পায়নি বলে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এছাড়াও ওরিয়ন গ্রুপ এই প্রকল্প থেকে আয়ের উপর ১৫ বছরের জন্য কর মওকুফ সুবিধা পেয়েছে ।

নিউএজ অবলম্বনে