১২ নগরীর মেয়রদের অব্যাহতি, দায়িত্ব পেলেন যারা

দেশজুড়ে ব্যাপক রদবদলের মধ্য দিয়ে ১২টি নগরীর মেয়রদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. শামসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের লোগো

একই দিনে আলাদা এক প্রজ্ঞাপনে ১২ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে এই নগরীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার (নগর) অধ্যাদেশ অনুসারে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ শের আলী। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদুল হাসানকে।

চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারদের নিজ নিজ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম খায়রুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বও পালন করবেন।

প্রশাসকগণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করবেন। এসব কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ দপ্তরের দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন, যার জন্য নিয়ম অনুযায়ী তারা দায়িত্ব ভাতা পাবেন। তবে অতিরিক্ত কোন আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ইউএনওদের প্রশাসক করা হয়। এছাড়াও, দেশের ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রদের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় সরকার।

৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর থেকে হামলার আশঙ্কায় বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি গা ঢাকা দিয়েছেন। জেলা, উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা—প্রায় সব স্তরের শীর্ষ পদগুলিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অধিষ্ঠিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, তাদের কেউ কেউ দেশ ত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সরকারি সেবা ব্যাহত হচ্ছিল।