পাকিস্তানের মন্ত্রী: সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, গতিও কমিয়ে দেয়নি

বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের জেরে পাকিস্তানেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। এ অবস্থায় সরকার ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজা দাবি করেছেন, সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, গতিও কমিয়ে দেয়নি। খবর জিও টিভি।

শাজা ফাতিমা খাজা

গত ৯ আগস্ট পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) ছাত্র সংগঠন ইনসাফ স্টুডেন্টস ফেডারেশন (আইএসএফ) পাকিস্তানজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে অনুপ্রেরণাদায়ী বলে উল্লেখ করেছেন।

গত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানের ইন্টারনেট পরিষেবায় বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। আন্দোলনরত লোকজন এর জন্য সরকারকে দায়ী করছেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজা দাবি করেছেন, সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বরং ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারকারীদের দোষারোপ করছেন তিনি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে ফাতিমা খাজা বলেন, ‘আমি শপথ করে বলতে পারি যে ইন্টারনেট পরিষেবার এই বিপর্যয়ের পেছনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। সরকারিভাবে ইন্টারনেট ব্লক বা গতি কমিয়ে দেওয়ার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’

পাকিস্তানের গত ১৪ আগস্ট থেকে ইন্টারনেট পরিষেবায় বিভ্রাট শুরু হয়। পুরো দেশেই ইন্টারনেটের গতি ব্যাপকভাবে কমে যায়, কোনো কোনো এলাকায় ইন্টারনেট পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এই সংকটের কোনো কারণ জানাতে পারেনি দেশটির ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থাগুলো। তবে বিভিন্ন সূত্র জানায়, ‘লা ফায়ারওয়াল’ নামের একটি বিশেষ নিরাপত্তা সফটওয়্যারের ত্রুটিপূর্ণ ইনস্টলেশনের কারণেই ইন্টারনেটের এই দুরাবস্থা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশেও কোটাসংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেটের গতি কমানো হয় এবং এক সময় পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সরকারের পদত্যাগের পর তদন্তে জানা গেছে, এগুলো পুরোটাই ইচ্ছাকৃত ছিল এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশেই এমনটি ঘটেছে।