গম, সার, এলএনজি আমদানি ও পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (এসিসিজিপি) বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ ছাপানো। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর সুইজারল্যান্ডের অ্যাস্টন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসএ থেকে ৫০,০০০ মেট্রিক টন গম আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। ১৭৫.২৮ কোটি টাকার এই চুক্তিতে প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯২.১৪ মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের উঠানামার মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কৃষি চাহিদা পূরণের জন্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) তিনটি পৃথক চুক্তির মাধ্যমে ১,০০,০০০ মেট্রিক টন টিএসপি এবং ডিএপি সার আমদানি করবে।

এছাড়াও, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) বিভিন্ন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ৯০,০০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে, যাতে কৃষকরা ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সার পেতে পারেন।

মন্ত্রিসভা কমিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক ছাপানো এবং বিতরণের জন্য দুটি বৃহৎ চুক্তি অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকও অন্তর্ভুক্ত।

একটি চুক্তির আওতায়, ৭৯টি কোম্পানি ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণির জন্য ৭.৩১ কোটি বই ছাপাবে এবং সরবরাহ করবে, যার ব্যয় ২৮৭.৬১ কোটি টাকা। অন্য চুক্তির আওতায়, ৬৯টি কোম্পানি ৭ম শ্রেণির জন্য ৫.৩৩ কোটি বই সরবরাহ করবে, যার ব্যয় ২৪০.৩১ কোটি টাকা।

চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (এসিসিজিপি)।

সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া ৩৩.৬৬ লাখ মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি সরবরাহ করবে ৬৬৬.৫৭ কোটি টাকায়। প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম পড়বে ১৪.১৩ ডলার। অপরদিকে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার একই পরিমাণ এলএনজি সরবরাহ করবে ৬৮৭.৩৩ কোটি টাকায়, যার প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম ১৪.৫৭ ডলার।