গাজায় ‘গণহত্যা’ তদন্তের আহ্বান জানালেন পোপ ফ্রান্সিস

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালাচ্ছে কিনা, সেটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন শত শত মানুষ। সর্বশেষ একদিনে গাজায় ১১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

প্রথমবারের মতো গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা তদন্তের দাবি জানালেন পোপ ফ্রান্সিস

গাজায় হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও এই প্রথমবারের মতো সেখানে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন ভ্যাটিকান পোপ। স্পষ্ট ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, গাজায় যা ঘটছে তাতে গণহত্যার একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে’।

ইতালীয় দৈনিক লা স্ট্যাম্পায় রবিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পোপ আরো বলেন, গণহত্যার এই বৈশিষ্ট্য আইনজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রণীত কৌশলগত সংজ্ঞার সঙ্গে খাপ খায় কিনা, তা নির্ধারণ করার জন্য আমাদের সাবধানে তদন্ত করা উচিত।

গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৫০ জন। এই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩ হাজার ৭৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। হতাহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

এদিকে পোপের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভ্যাটিকানে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়ারন সাইডম্যান। এক্স-এ একটি পোস্টে ইয়ারন বলেছেন,

৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপরই গণহত্যা চালানো হয়েছিল এবং তারপর থেকে ইসরায়েল তার নাগরিকদের রক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে।

পোপের গণহত্যা শব্দটি ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, এটিকে অন্য কোনও নামে ডাকার যে কোনও প্রচেষ্টা ইহুদি রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি বিমান হামলায় মানুষের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, এমনকি আশ্রয়শিবির পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ।

এদিকে গাজার পাশাপাশি লেবাননেও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৮১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৮৬ জনের বেশি।