৩৭ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত

জুলাই বিপ্লবের সময় গণহত্যায় উসকানি এবং পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাব

সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। নোটিশে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসুদ প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ৫০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগ সম্বলিত একটি চিঠি পাঠান।

অভিযোগ করা হয়, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধে জড়িত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এসব সাংবাদিককে গণমাধ্যম অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

যাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল।

এছাড়াও আছেন জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।

এর আগে, ২১ আগস্ট একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল করেসপনডেন্ট ফারজানা রূপাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।