অথচ আদানি বলছে, পুনর্বিবেচনার কোনো ইঙ্গিত নেই

আদানি পাওয়ার সোমবার জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের সঙ্গে সম্পাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) পুনর্বিবেচনা করছে এমন কোনো ইঙ্গিত তারা পায়নি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে পিপিএ পুনর্বিবেচনার খবর প্রকাশের পরদিনই আদানি এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছে।

আদানি

রয়টার্স রবিবার জানিয়েছিল, আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির আওতায় বিদ্যুতের দাম কমাতে চায় বাংলাদেশ। তবে আদালত যদি ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করে, তাহলে সেটা আলাদা কথা।

গত সপ্তাহে হাইকোর্ট এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে এই চুক্তি পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই চুক্তির আওতায় আদানি ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ২০০ কোটি ডলারের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ভারতে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। আদানি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এরই মধ্যে ভারতের একটি রাজ্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে এবং ফ্রান্সের টোটালএনার্জিস তাদের বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে।

২০১৭ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে আদানির সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলারের বেশি বকেয়া পাওনা আদায়ের চেষ্টা করছে এবং আগস্টের শুরুতে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ৭০০-৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বকেয়া পাওনা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, যা উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের কারণ এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম টিকিয়ে রাখা কঠিন করে তুলছে।

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, যারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে আমাদের বকেয়া পাওনা শীঘ্রই পরিশোধ করা হবে।’