নাসার হবু প্রশাসক: মহাকাশে মার্কিন সেনা মোতায়েন ‘অবশ্যম্ভাবী’

মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন ‘সম্পূর্ণ অবশ্যম্ভাবী’ বলে মন্তব্য করেছেন নাসার হবু প্রশাসক জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। অরল্যান্ডোতে স্পেস ফোর্স অ্যাসোসিয়েশনের স্পেসপাওয়ার ২০২৪ সম্মেলনে বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাসার হবু প্রশাসক জ্যারেড আইজ্যাকম্যান

আইজ্যাকম্যানের মতে, মহাকাশে, বিশেষ করে নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে (লো আর্থ অরবিট), যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং সেখানে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় সামরিক উপস্থিতি অপরিহার্য। ‘যদি আমেরিকানরা নিম্ন পৃথিবীর কক্ষপথে থাকে, তবে তাদের নিরাপত্তার জন্য কারো না কারো সেখানে থাকতে হবে। এটি মানবজাতির পথচলার পরবর্তী ধাপ। আমেরিকা এতে নেতৃত্ব দেবে এবং সেখানে আমাদের নজরদারির প্রয়োজন হবে।’

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইজ্যাকম্যানকে নাসার প্রধান হিসেবে মনোনীত করেন। নাসার প্রশাসক হিসেবে আইজ্যাকম্যানের প্রধান লক্ষ্য হবে শক্তিশালী মহাকাশ অর্থনীতি গড়ে তোলা। মহাকাশে খনিজ সম্পদ আহরণ, উৎপাদন, এবং শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বর্তমান বাণিজ্যিক মহাকাশ প্রকল্পের বাইরেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আহ্বান জানান।

স্পেসএক্সের এলন মাস্ক এবং ব্লু অরিজিনের জেফ বেজোসের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আইজ্যাকম্যান বলেন, ‘গত ৬০ বছর ধরে মহাকাশ অর্থনীতি কমবেশি একই রকম রয়ে গেছে।’ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, মহাকাশ উৎপাদন, জৈবপ্রযুক্তি, খনিজ আহরণ এবং নতুন শক্তি উৎসের ক্ষেত্রে অতুলনীয় সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে মহাকাশে মানুষ বসবাস ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।

মানবজাতিকে একটি প্রকৃত মহাকাশযাত্রী সভ্যতায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে নাসা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন আইজ্যাকম্যান। মহাকাশ নিরাপত্তায় সামরিক সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির মাধ্যমে চাঁদে স্থায়ী মানব উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।