মুশফিকের কণ্ঠে সেই পুরোনো হতাশা

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের টেস্ট অভিষেক ২০০৯ সালে। অ্যালিস্টার কুক প্রথম টেস্ট খেলেছেন ২০০৬ সালে। সে হিসেবে মুশফিকুর রহিম ২০০৫ সালে প্রথম টেস্ট খেলে এই দুজনের চেয়ে সিনিয়র। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, মুশফিকের খেলা মোট টেস্টের সংখ্যা ম্যাথুজের সমানও নয়! বাংলাদেশের শততম টেস্টের আগে তাই আরো একবার হতাশ শোনালো বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠ।

মুশফিক বলেন, ‘গত ১২ বছরে আমি মাত্র ৫৩টি টেস্ট খেলেছি। অথচ ম্যাথুজ বা অ্যালিস্টার কুক, এরা আমার পরে টেস্ট খেলা শুরু করেও আমার চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলেছে। এটা আসলে কষ্টকর ব্যাপার। দল হিসেবেও এ কারণে আমরা টেস্টে এখনো তেমন সুবিধা করতে পারি না।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন, টেস্টে বাংলাদেশ তখনই প্রতিষ্ঠিত শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে পারবে, যখন আরো বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ আসবে; যেমন এ বছর এসেছে।

মুশফিক বলেন, ‘দেখা যায় আমরা ছয় মাস, আট মাস বা এক বছর পরপর টেস্ট খেলতে নামি। এভাবে কিন্তু একটা দলের ভালো কিছু করা কঠিন। দেখা যেতো ছয় মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে আগের ম্যাচের অনেকেই নেই। ফলে নতুনদের মানিয়ে নিতে সময় লাগে। গত দুই আড়াই বছরে অবশ্য একটু পরিবর্তন হয়েছে। যেমন এ বছর অনেকগুলো টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এ রকম আরো বছর এলে বাংলদেশ হয়তো টেস্টেও ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসবে।’

এর আগে, বাংলাদেশ যখন ভারতে প্রথম টেস্ট খেলতে গেলো, তখন মুশফিকের মতো কথা শোনা গেছে ভারতের অধিনায়কের কণ্ঠেও। বিরাট কোহলি বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ যতো খেলার সুযোগ পাবে, ততোই তারা ভালো করবে। প্রতিপক্ষের অধিনায়ক পর্যন্ত বুঝে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের কষ্ট!