কানাডায় জাতীয় নির্বাচন: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধই মূল ইস্যু, এগিয়ে কার্নি
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কানাডায় সোমবার জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি এগিয়ে আছেন বলে ভোটের আগের জরিপে আভাস পাওয়া গেছে। তবে এবারের নির্বাচন মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি এবং কানাডার প্রতি তার মনোভাবকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে।
ছবি - সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি গত এক দশক ধরে কানাডার ক্ষমতায় রয়েছে। এবারের নির্বাচনে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছে পিয়েরে পোইলিভরের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি।
ভোটের আগে প্রকাশিত জনমত জরিপ অনুযায়ী, লিবারেল পার্টি প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ৩৯ শতাংশ সমর্থন। এছাড়া নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) ৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্ক এবং বিভিন্ন মন্তব্যকে ঘিরে কানাডার রাজনীতি উত্তপ্ত। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এবং কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ মোকাবেলা করবেন, সেটাই মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ট্রাম্প কানাডার বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করায় দেশটির নেতারা ক্ষুব্ধ। এর জবাবে লিবারেল পার্টি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে প্রতিশোধ নেওয়ার পক্ষে কথা বলছে। দলটি দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বাড়াতে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং অটো শিল্পকে রক্ষা করতে ২ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোইলিভর প্রদেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য বাধা দূর করার অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া কোভিড মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তায় অ্যালুমিনিয়াম শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথাও বলছে তার দল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কানাডার এবারের নির্বাচন দেশটির জনগণের ট্রাম্পবিরোধী মনোভাব প্রকাশের একটি ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা কানাডীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
সোমবার এক বক্তব্যে কনজারভেটিভ নেতা পোইলিভর ট্রাম্পকে কানাডার নির্বাচন থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "কানাডার জনগণই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।" অন্যদিকে, লিবারেল নেতা কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কানাডার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন।
ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লিসা ইয়ং বিবিসিকে বলেন, "ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘটনায় অনেক কানাডিয়ান ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রকে পরিত্যাজ্য হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।" তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের মন্তব্যকে ঘিরে কানাডায় জাতীয়তাবাদের ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে।
বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্পের আকস্মিক শুল্ক আরোপের ঘটনা কানাডার অর্থনীতিকে বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কারণ দেশটির মোট রপ্তানির ৭০ শতাংশেরও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায়। এই রপ্তানি পণ্যের মধ্যে মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ, কাঠ, কৃষিজাত পণ্য এবং ইস্পাত অন্যতম।
সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.