তুরস্কে পুতিন উপস্থিত থাকলে যোগ দেবেন ট্রাম্প

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠেয় রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) ইউক্রেনে নিযুক্ত ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগ ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন।

ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

কেলগ বলেন, ‘আমরা আশা করছি প্রেসিডেন্ট পুতিন উপস্থিত থাকবেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সেখানে থাকবেন। এর ফলে এটি একটি অবিশ্বাস্য বৈঠক হতে পারে।’

আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কে এই উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে ২০২২ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলেই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা সর্বশেষ সরাসরি শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আর কোনো মুখোমুখি বৈঠক হয়নি।

পুতিন এবং ট্রাম্প উভয়েই ইস্তাম্বুলে উপস্থিত থাকলে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কেলগ। তিনি আরও বলেন, ‘কীভাবে চুক্তি করতে হয় তা ভালোভাবেই জানেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এটিকে তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। যদি তিনি দেখেন পুতিন সেখানে আসবেন, তাহলে আমি মনে করি আমরা অনেকের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে যাব।’

ট্রাম্পের এই বিশেষ দূত আশা প্রকাশ করেন যে, আলোচকদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত চুক্তির খসড়ায় যুদ্ধবিরতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে থাকব এবং দেখা যাক কী হয়।’

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, কেলগ এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফও এই আলোচনায় অংশ নিতে আগ্রহী।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতোমধ্যে তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই এই আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তার নিজের উপস্থিতি এখনও নিশ্চিত করেননি।

এর আগে ট্রাম্প এই আলোচনাটিকে ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য একটি সম্ভাব্য দুর্দান্ত দিন’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন এবং যোগদানের আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন।  তবে সে সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সফরে থাকবেন। 

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি