আপনি পড়ছেন

ইরাক সরকার একটি ব্যাপক সাধারণ ক্ষমা আইনের অধীনে ১৯ হাজারেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএল) সদস্য হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত কিছু ব্যক্তিও রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) ইরাকের বিচার বিভাগের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

iraqi prime minister mohammed shia al sudani 1ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি

ইরাকের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এই আইনের মূল লক্ষ্য ছিল অতিরিক্ত ভিড়ে জর্জরিত কারাগারগুলোর ওপর চাপ কমানো। জানুয়ারিতে প্রণীত এই সাধারণ ক্ষমা আইনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দণ্ডিত কিছু বন্দিকে মুক্তি, পুনঃবিচার এবং মামলা খারিজের সুযোগ করে দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে দুর্নীতি, চুরি ও মাদক সেবনের মতো অহিংসাত্মক অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এছাড়া, সাবেক আইএস সদস্যসহ মুক্তিপ্রাপ্ত সবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরও স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে, ‘চরমপন্থা’ সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্তদের এই আইনের আওতায় কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি।

আইনটি সুন্নি আইনপ্রণেতাদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। অনেক সুন্নি নেতা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন যে, আইএস-বিরোধী অভিযানের পরের বছরগুলোতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনগুলো সুন্নি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ফায়েক জায়েদানের সভাপতিত্বে বাগদাদে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে জানানো হয়, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৯ হাজার ৩৮১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জামিনপ্রাপ্ত, পলাতক অবস্থায় সাজাপ্রাপ্ত কিংবা যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে এমন সব ব্যক্তি মিলিয়ে মোট ৯৩ হাজার ৫৯৭ জন এই আইনের সুফল পেয়েছেন।

এদিকে, বিচারমন্ত্রী খালিদ শাওয়ানি জানিয়েছেন, ইরাকের ৩১টি কারাগারে বর্তমানে প্রায় ৬৫ হাজার বন্দি রয়েছে, যা এসব কারাগারের ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নেই, তখন কারাগারগুলোতে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বন্দিতে ঠাসা ছিল। গত দুই বছরে তা কমিয়ে ২০০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আগামী বছর আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তা ১০০ শতাংশে আনার লক্ষ্য রয়েছে।’

মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের জন্য ইরাক বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচিত হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো গণ-মৃত্যুদণ্ড ও অস্পষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার নিন্দা জানিয়েছে, যার মধ্যে বন্দির পরিবার বা আইনি প্রতিনিধিদের না জানিয়েই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মতো ঘটনাও রয়েছে। গত মাসে নাসিরিয়া সেন্ট্রাল জেলে খুবই অস্পষ্ট ও ব্যাপকভাবে সংজ্ঞায়িত সন্ত্রাসবাদ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আইএস ইরাকের মসুল, তিকরিত, ফালুজাসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নেয়। আইএসের নিয়ন্ত্রণকালে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়, লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যা চালানো হয় এবং বিশাল এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ২০১৭ সালে ইরাকি বাহিনীর কাছে তারা পরাজিত হয় এবং আইএস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলো পুনর্দখলের সময় গোষ্ঠীটির বহু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.