ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: যা জানা প্রয়োজন

আগামী বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই হিসেবে আগামীকাল সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ দেশটির জন্য একরকম মহড়া টুর্নামেন্ট। প্রথমবারের মতো এই আসর হতে যাচ্ছে ৩২ দলের। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইন্টার মিয়ামি ও আল আহলি।

ভিনিচিয়াস জুনিয়রের উল্লাস। রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণের ভরসা তিনি। ছবি: ফাইল

অন্যান্য বছরগুলোতে ছয় কিংবা সাতটি দল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করা হতো। মহাদেশীয় ক্লাব টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নরা অংশ নিতো এখানে। ইউরোপিয়ান দলগুলো অবশ্য সরাসরি সেমিফাইনালে অংশ নিতো। স্বাভাবিকভাবেই স্বল্প পরিসরের এই আয়োজন কখনো সাড়া ফেলতে পারেনি। এভাবেই ২০টি আসর শেষ হয়েছে।

এবারের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হবে জাতীয় দলের বিশ্বকাপের পূর্বের ফরম্যাটে। আট গ্রুপের প্রতিটিতে চারটি করে দল থাকবে। সেরা দুই দল উঠবে নক আউট পর্বে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। এক মাসের এই টুর্নামেন্টে মোট ম্যাচ হবে ৬৩টি। যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে আয়োজন করা হবে এসব ম্যাচ।

সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব অংশ নিচ্ছে ইউরোপ মহাদেশ থেকে। দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিনধি ছয়টি ক্লাব। উত্তর ও মধ্য আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে চারটি করে ক্লাব প্রতিনিধিত্ব করবে। ওশেনিয়ান অঞ্চল থেকে এসেছে একটি দল। ব্রাজিল থেকে সর্বোচ্চ চারটি ক্লাব অংশ নেবে। স্বাগতিক দেশ থেকে টিকিট পেয়েছে দুই দল।

টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৪২ জন ফুটবলার ব্রাজিলিয়ান। আর্জেন্টিনার থাকবে ১০২ জন। দুই দেশের পেছনে আছে যথাক্রমে স্পেন (৫৪), পর্তুগাল (৪৯), যুক্তরাষ্ট্র, (৪২), মেক্সিকো (৪০), ফ্রান্স (৩৭), জার্মানি (৩৬), ইতালি (৩৬), মরোক্কা (৩১) এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (৩১)। প্রতিযোগিতার মোট প্রাইজমানি ১০০ কোটি ইউএস ডলার।

যা ২০২২ বিশ্বকাপের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি! চ্যাম্পিয়ন দল পাবে চার কোটি ডলার। ফাইনাল হবে ১৩ জুলাই; নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ক্লাব বিশ্বকাপে দেখা যাবে না অনেক বড়বড় মুখ। তাদের মধ্যে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লেমিন ইয়ামাল, মোহাম্মদ সালাহ, নেইমার জুনিয়রের মতো ফুটবলাররা।

টুর্নামেন্টের ফেভারিট ইউরোপের ক্লাবগুলো। ১৬বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই মহাদেশের ক্লাবগুলো। সবশেষ ১১টি আসরের চ্যাম্পিয়নও তারাই। তাদের এবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ক্লাবগুলো। মহাদেশীয় ক্লাব টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বোটাফোগোকে ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। ইউরোপের রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি এবং বায়ার্ন মিউনিখকেও এগিয়ে রাখা হচ্ছে।

অংশ নেওয়া ৩২ দল: আল হিলাল, উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস, আল আইন, উলসান হুন্দাই এফসি , আল আহলি, ওয়াইদাদ, এসপেরানস দি তিউনিস, মামেলোদি সানডাউনস, মন্টেরি, সিয়াটল সাউন্ডার্স, পাচুচা, ইন্টার মিয়ামি, লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি, পালমেইরাস, ফ্ল্যামেঙ্গো, ফ্লুমিনেন্স, বোটাফোগো, রিভার প্লেট, বোকা জুনিয়র্স, চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বেনফিকা, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, জুভেন্টাস, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রেড বুল সালজবার্গ, অকল্যান্ড সিটি।