হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ সর্বাধুনিক অস্ত্র নিয়ে আসছে চীন
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চীন এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের পরিকল্পনা করেছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গণমুক্তি ফৌজের (পিএলএ) সর্বাধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হবে, যার মাধ্যমে বেইজিং তার সামরিক সক্ষমতার জানান দেবে।
২০০৫ সালে বেইজিংয়ের সামরিক কুচকাওয়াজে পর্দায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: এপি
চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান শি জিনপিং এই অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন। দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা পিএলএ-এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উ জেকের মতে, এই কুচকাওয়াজে “নতুন ধরনের যুদ্ধ সক্ষমতা” প্রদর্শন করা হবে। এর মধ্যে থাকছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম।
উল্লেখ্য, ২০ লক্ষাধিক সদস্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে চীনের গণমুক্তি ফৌজ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম স্থায়ী সেনাবাহিনী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানবাহী রণতরী এবং যুদ্ধবিমানের এক অত্যাধুনিক অস্ত্রভান্ডার গড়ে তুলেছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শাসনামলে সামরিক কুচকাওয়াজ একটি নিয়মিত এবং গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মূলত ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠা, জাপানের আত্মসমর্পণ দিবস এবং পিএলএ-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মতো বিশেষ দিনগুলোতে এই ধরনের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ সেনাদলের পদযাত্রা, সাঁজোয়া যানের সারি এবং বিমানবাহিনীর মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখা যায়।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, কর্মকর্তা উ জেকের মতে, এই কুচকাওয়াজে সর্বশেষ প্রজন্মের অস্ত্রশস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং পরিবর্তিত যুদ্ধ কৌশলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখার সক্ষমতা প্রদর্শন করা। এর মাধ্যমে চীন ভবিষ্যৎ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার বার্তাও দিতে চায়।
ঐতিহাসিকভাবে, ১৯৩৭ সালে জাপান চীনে আক্রমণ চালিয়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলের একটি বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছিল। সেই সময় জাপানের বিরুদ্ধে মূল প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জাতীয়তাবাদীরা, যারা পরবর্তীতে কমিউনিস্টদের কাছে পরাজিত হয়ে তাইওয়ান দ্বীপে চলে যায়।
চীন তার সামরিক বাহিনীর এই ব্যাপক আধুনিকীকরণের মাধ্যমে মূলত দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে। প্রথমত, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা, যাকে চীন এখনও তার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। দ্বিতীয়ত, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রধান সামরিক শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিস্থাপন করা।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.