১২ দিনের সংঘাতে ১৪ ইরানি বিজ্ঞানী নিহত

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ১২ দিনে ইরানের অন্তত ১৪ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে বিশেষ করে পদার্থবিদ, রসায়নবিদ ও প্রকৌশলীও রয়েছেন। ইসরায়েলি আইডিএফ অবশ্য ১৭ বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি করেছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি হামলায় ৫ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারিয়েছে তেহরানের এক বিশ্ববিদ্যালয়

এক-দুজন নয়, ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী- আইডিএফ। তেহরানের আলবোরজ পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পাঁচ অধ্যাপক দেশটির পরমাণু গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।

নিহত ওই পরমাণুবিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন ড. ফেরেদুন আব্বাসি, ড. আহমাদরেজা জোলফাগারি ও ড. আবদলহামিদ মিনুচেহর। এই তিনজন শহীদ বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বাকি দুজন ড. আমির হোসেন ফাকেহি ও ড. মোহাম্মাদ মেহদি তেহরানচি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক।

ইসরায়েলের হামলায় গত সোমবার শীর্ষস্থানীয় ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানী সাইয়্যেদ মোস্তাফা সাদাতি-আরমাকি এবং তার পুরো পরিবার নিহত হয়। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, সাদাতি-আরমাকি ছিলেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় গবেষক ও বিজ্ঞানীদের একজন।

ইরানের আরেকটি সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ জানিয়েছে, আরেক পরমাণুবিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সাদিঘি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তেহরান ও পশ্চিম জেরুজালেমের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার আগেই এ হামলা হয়। সাদিঘি ছিলেন একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।

ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকা দাবি করেছেন, ইরানের এসব বিজ্ঞানী নিহতের ফলে ইসরায়েলি ও মার্কিন বোমা হামলায় বেঁচে থাকা পারমাণবিক অবকাঠামো ও উপকরণ থেকে ইরানের অস্ত্র তৈরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

জারকা বলেন, এতজন বিজ্ঞানীকে হারিয়ে মূলত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক বছর, বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে গেল।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে ইরানের আরও বিজ্ঞানী আছেন, যারা নিহতদের স্থান নিতে পারেন এবং এই হত্যাকাণ্ড কেবল দেশের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দিতে পারে, শেষ করতে পারে না।

ইরান জানিয়েছে, ১৩ জুন ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে কমপক্ষে ৬১০ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৩,০৫৬ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছে।