আপনি পড়ছেন

একদিকে বিশ্ব শেয়ারবাজারে রেকর্ড উল্লম্ফন, অন্যদিকে মার্কিন ডলারের বড় দরপতন—এই দুই বিপরীতমুখী প্রবণতায় শুক্রবার বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন এক চিত্র ফুটে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক সুদের হার কমানোর জোরালো সম্ভাবনাই এই পরিস্থিতির মূল কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই ইতিবাচক আবহে এশিয়ার বাজার থেকে শুরু করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ব্যাপক চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

stock market and us dollarছবি - সংগৃহীত

বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফেরায় এই সপ্তাহে বিশ্ব পুঁজিবাজারগুলো রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমার সম্ভাবনায় তারা উৎসাহিত হয়েছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান শুল্কযুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে বিরল মৃত্তিকা খনিজ চালান দ্রুত পাঠানোর বিষয়ে একটি চুক্তি হয়, যা বাজারকে আরও ইতিবাচক বার্তা দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ইউরোপের প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ সূচক ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক ০.৫ শতাংশ এবং জার্মানির ড্যাক্স সূচক ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক শেয়ারবাজারের অন্যতম মাপকাঠি এমএসসিআই বিশ্ব ইক্যুইটি সূচক একটি নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে এবং এই সপ্তাহে প্রায় ২.৮ শতাংশ লাভের পথে রয়েছে।

অ্যাভিভা ইনভেস্টরস-এর জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ভাসিলিওস জিওনাকিস বলেন, ‘বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে তৈরি হওয়া আশাবাদই বাজারের এই ঘুরে দাঁড়ানোর মূল কারণ। এপ্রিলের শুল্ক ঘোষণার পর সৃষ্ট মন্দা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা কাটিয়ে বাজার এখন শক্তিশালী হচ্ছে।’

ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হেফেলে জানিয়েছেন, স্বল্পমেয়াদে তারা ইউরোপের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং উদীয়মান বাজারগুলোতে বেশি লাভের সম্ভাবনা দেখছেন।

ডলারের দরপতন

শেয়ারবাজারের এই তেজি ভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গেছে মুদ্রাবাজারে। শুক্রবার ইউরো এবং স্টার্লিংয়ের বিপরীতে মার্কিন ডলারের মান গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ডলার সূচক কিছুটা কমে ৯৭.২৬৯-এ দাঁড়িয়েছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য পতন।

বিশ্লেষকদের মতে, শুধু ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য নীতি পরিবর্তনই ডলারের এই পতনের একমাত্র কারণ নয়। অ্যাভিভা ইনভেস্টরস-এর জিওনাকিস বলেন, ‘আমার মনে হয়, এর পেছনে আরও বড় কারণ রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন শ্রেষ্ঠত্বের যে ধারণা প্রচলিত ছিল, তাতে কিছুটা কালিমা লেগেছে।’

বিনিয়োগকারীরা এখন মার্কিন মুদ্রানীতির দিকে গভীর নজর রাখছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের জন্য নতুন একজন নমনীয় নীতির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে পারেন, যিনি সুদের হার কমাতে আগ্রহী হবেন। ব্যবসায়ীরা এখন এই বছর ৬৪ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমার পূর্বাভাস দিচ্ছেন, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৪৬ বেসিস পয়েন্ট। মুক্ত মুদ্রাবাজার ব্যবস্থা চালুর পর এটি ডলারের জন্য অন্যতম দুর্বল বছর হতে চলেছে।

মেটা-কিওয়ার্ড: ডলারের দরপতন, শেয়ারবাজারের উল্লম্ফন, বিশ্ব অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, মার্কিন ডলার, সুদের হার, বিনিয়োগ, পুঁজিবাজার, বৈশ্বিক বাজার, অর্থনীতি।

মেটা-ডেসক্রিপশন: যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতিতে বিশ্ব শেয়ারবাজারে রেকর্ড উল্লম্ফন ঘটেছে, তবে একই সময়ে মার্কিন ডলারের বড় দরপতন হয়েছে। প্রতিবেদনে এই দ্বিমুখী প্রবণতার কারণ ও বাজারের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.