সিরিয়া-লেবাননের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ইসরায়েল

পুরনো শত্রু সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। তবে সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় গোলান মালভূমির মালিকানা নিয়ে কোনো আপস করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআর। সোমবার (৩০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআর

গিদিওন সাআর বলেন, “আমরা চাই সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে উঠুক। তবে গোলান মালভূমি ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।”

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কৌশলগত বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। এক বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি ২০২৩ সালের শেষ থেকে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে।

এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ইসরায়েল। মে মাসে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল এবং সিরিয়ার ইসলামপন্থী নতুন সরকার পরস্পরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে এবং সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে একাধিক মুখোমুখি বৈঠকও হয়েছে।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে অধিকাংশ গোলান মালভূমি দখল করে এবং ১৯৮১ সালে একতরফাভাবে অঞ্চলটি নিজেদের ভূখণ্ড ঘোষণা করে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা স্বীকৃতি দেয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআর বলেন, “গোলান মালভূমির নিয়ন্ত্রণ আমাদের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। এই অঞ্চল আমাদের সুরক্ষার ঢাল, এটা আমরা ফিরিয়ে দেব না।”

গত মে মাসে সৌদি আরবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী সরকারের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।

আসাদের পতনের পর পরই ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়া সীমান্তের একটি নিষস্ত্রীকৃত অঞ্চলে প্রবেশ করে। এর মধ্যে রয়েছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হারমোন পর্বতের সিরিয় অংশ, যা সরাসরি দামেস্ক শহরকে উপেক্ষা করে। এই পদক্ষেপকে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে দেখছে ইসরায়েল।