ক্রেমলিন: যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কী অস্ত্র দেবে তা জানতে সময় লাগবে

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কী ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং ভবিষ্যতে দেবে, তা স্পষ্ট হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ক্রেমলিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পর মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই মন্তব্য করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। খবর রয়র্টাস।

সোমবার ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র, বিশেষ করে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠাবে। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে ইউক্রেন যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।

এই মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহায়তা নিয়ে অনেক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট যে ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “অবশ্যই সরবরাহ অব্যাহত আছে, এটা স্পষ্ট। ইউরোপীয় দেশগুলো সক্রিয়ভাবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে।”

তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেন কী ধরনের অস্ত্র, কী পরিমাণে পাচ্ছে, তা নিশ্চিতভাবে বোঝা এখনও সময়সাপেক্ষ বলে জানান পেসকভ।

এদিকে রাশিয়া বিভিন্ন ফ্রন্টে অগ্রসর হচ্ছে এবং বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়া, লুহানস্ক পুরোপুরি, আরও তিনটি অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ এবং অতিরিক্ত তিনটি অঞ্চলের কিছু এলাকা।

পেসকভ আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা মস্কো মূল্যায়ন করে।

এছাড়া রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মত দেন।

তবে পেসকভ অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা এসব নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ মনে করি। এগুলো শুধু আমাদের ব্যবসায়ীদেরই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”