হারের পর মিরাজের দুই ‘অজুহাত’

প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হার। পরের ম্যাচে ১৬ রানের জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার রাতে সিরিজের অলিখিত ফাইনালে লঙ্কানদের কাছে ৯৯ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরে গেছে টাইগাররা। এই হারের কারণ হিসেবে দুটি অজুহাত তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের স্থায়ী অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ছবি: ফাইল

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮৫ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করল লঙ্কানরা। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন কুশল মেন্ডিস। হেরে যাওয়া সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন এক যাত্রা শুরু হয়েছে।

২০০৬ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ওয়ানডে ম্যাচে দেখা গেলে না মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাউকে। তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়েই গড়ে উঠছে দল। ওয়ানডে সিরিজে এই হার দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে মিরাজ যুগ শুরু হলো।

শুরুর এই যাত্রাটা ভালো হয়নি। মিরাজের নেতৃত্বে তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে টাইগাররা। অবশ্য হার ম্যাচেরই একটা অংশ। কিন্তু উদ্বেগের ব্যাপারটি হচ্ছে বাংলাদেশের হারের ধরন। দুটো ম্যাচেই লঙ্কানদের কাছে স্রেফ আত্মসমর্পণ করেছেন মিরাজ অ্যান্ড কোং। এই হারের পর বিশেষ দুটি অজুহাত দাঁড় করিয়েছেন অধিনায়ক। প্রথমটিই দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি।

পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হারের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেছেন, ‘আমাদের দলটা তরুণ এবং এখানে নতুন খেলোয়াড়রা আসছেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি। ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি এবং আরও সুযোগ দিতে চাই যাতে তারা ভালো খেলতে পারেন। আশা করছি টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ভালো করব।’

শেষ ম্যাচের উইকেট কিছুটা হলেও ব্যাটিং সুলভ ছিল। তবু লঙ্কানদের তিন শ রান তুলতে দেননি বোলাররা। তাদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মিরাজ। তিনি বলেছেন, ‘শেষ ১০ ওভারে আমরা ভালো বোলিং করেছি। স্পিনাররাও ভালো করেছেন।’ উইকেট নিয়ে মিরাজের ব্যাখ্যা, ‘উইকেট খুব ভালো ছিল এবং ইতিবাচকভাবে ব্যাটিং করার জন্য আমরা আলোচনা করেছিলাম।’

হারের দ্বিতীয় কারণ তুলে ধরে মিরাজ বলেছেন, ‘ইনিংসের মাঝামাঝিতে আমরা জুটি গড়তে পারিনি এবং শুরুর দিকে আমরা কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি। যেটার মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের।’ শ্রীলঙ্কা সফরে এ নিয়ে দুটি সিরিজ হারল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হার ১-০ ব্যবধানে। ওয়ানডেতে ২-১। আগামী বৃহস্পতিবার একই ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।