বিধ্বস্ত রিয়াল, ফাইনালে পিএসজি

নয় মিনিটের মধ্যে দুই গোল। ২৪ মিনিটে তৃতীয়বার কেঁপে উঠল রিয়াল মাদ্রিদের জাল। শুরুতেই তিন গোল হজম করা স্প্যানিশ জায়ান্টরা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বরং ম্যাচের শেষ দিকে আরও এক গোল হজম করে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠ ছেড়েছে জাবি আলোনসোর দল।

বুধবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। আগামী রোববার রাতে নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ইউরোপ সেরা পিএসজির প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব চেলসি।

নিউজার্সিতে ছয় মিনিটেই পিএসজিকে লিড এনে দেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। একটু পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্যালন ডি’অরের সুবাস পাওয়া উসমান ডেম্বেলে। ২৪ মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করেন রুইজ। তিন গোল হজম করা রিয়াল মাদ্রিদ পিএসজিকে ফেরত দিতে পারেনি একটিও।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথমার্ধ শেষ হয় পিএসজির তিন গোলের লিডে। ম্যাচটা এভাবেই শেষ হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৮৭ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন পিএসজির পর্তুগিজ ফরওয়ার্ড গঙ্কালো রামোস। বিশাল এই হারে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল রিয়াল।

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে পিএসজি। সাদামাটা একটা দল নিয়েই প্যারিসিয়ানরা জেতে বহুল অরাধ্যের ধন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। শেষ অবধি ত্রিমুকুট জিতে মৌসুম শেষ করে ফরাসি জায়ান্টরা। যেটির নেপথ্য নায়ক লুইস এনরিকে।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল পিএসজি। সেই ছন্দ এবারের বিশ্বকাপেও বয়ে এনেছে তারা। সবমিলিয়ে গত এক বছরে পিএসজিকে আমূল বদলে দিয়েছেন এনরিকে। বার্সেলোনার পর পিএসজিকেও ত্রিমুকুট উপহার দিয়েছেন স্প্যানিশ এই কোচ।

পিএসজি-রিয়াল মহারণকে ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু প্যারিসিয়ানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল। এই ম্যাচের আরেকটি দৃশ্যপট ছিল। প্যারিস ছেড়ে আসার পর প্রথমবারের মতো সাবেক ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছেন এমবাপ্পে।

কিন্তু সাবেক ক্লাবের সামনে হুমকি হয়ে উঠেতে পারেননি ফরওয়ার্ড। এমবাপ্পের মতো তার সতীর্থরাও পিএসজির রক্ষণদুর্গ ভাঙতে পারেননি। সবমিলিয়ে রিয়াল-পিএসজি ম্যাচটা হলো একপেশে। শুধু রিয়াল, ইন্টার নয় এর আগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকেও উড়িয়ে দিয়েছিল পিএসজি।

বায়ার্ন মিউনিখও প্যারিসিয়ানদের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির কাছে হেরে বিদায় নেয় বাভারিয়ান ক্লাবটি। সবমিলিয়ে পিএসজি হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি তাদের থামাতে পারে কিনা সেটিই দেখার অপেক্ষা।