রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য: ভারত, চীন ও ব্রাজিলকে ন্যাটোর হুঁশিয়ারি

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখলে ব্রাজিল, চীন ও ভারতকে পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। বুধবার (১৬ জুলাই) মার্কিন কংগ্রেসে সিনেটরদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রুটের এই মন্তব্যের একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তি না হলে রাশিয়ার পণ্য আমদানিকারকদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

রুটে বলেন, ‘আমি নির্দিষ্টভাবে এই তিনটি দেশকে বলছি, আপনারা যদি বেইজিং, নয়াদিল্লি বা ব্রাসিলিয়ার নেতৃত্বে থাকেন, তবে বিষয়টি এখনই গুরুত্বের সঙ্গে ভাবুন। কারণ এটি আপনাদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।’

সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, তারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে বলুক যেন তিনি শান্তি আলোচনায় মনোযোগ দেন। অন্যথায়, নিষেধাজ্ঞার এই ঝড় সরাসরি ব্রাজিল, ভারত ও চীনের ওপর আছড়ে পড়বে।’

মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও ৫০ দিনের সময়সীমা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সময়কে কাজে লাগিয়ে পুতিন সামরিক অভিযান আরও জোরদার করতে পারেন, যাতে যুদ্ধ জয় বা আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করা যায়। তাই আগামী ৫০ দিনে রাশিয়া যা-ই করুক না কেন, আলোচনায় তাদের কোনো অগ্রগতিকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত হবে না।’

ন্যাটো মহাসচিব আরও জানান, ইউক্রেনকে ব্যাপক অস্ত্র সরবরাহ করা হবে। শুধু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই নয়, কিয়েভকে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার অর্থায়ন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছি, যাতে শান্তি আলোচনায় তারা সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে দর-কষাকষি করতে পারে।’

সহায়তার তালিকায় দীর্ঘ পাল্লার অস্ত্র থাকছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুটে বলেন, ‘এতে আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক—দুই ধরনের অস্ত্রই রয়েছে। তবে ঠিক কোন কোন অস্ত্র দেওয়া হবে, তা পেন্টাগন ও ইউক্রেনের সঙ্গে কর্মরত ন্যাটো কমান্ড নির্ধারণ করছে।’