তুলা আমদানিতে উৎসে কর বাতিল

বস্ত্রশিল্পের জন্য বড় এক স্বস্তির খবর এসেছে। তুলাসহ একাধিক কাঁচামাল আমদানির ওপর আরোপিত ২ শতাংশ উৎসে কর (এআইটি) প্রত্যাহার করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এনবিআরের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৫টি এইচএস কোডের আওতায় থাকা পণ্যের আমদানিমূল্যের ওপর উৎসে করের হার শূন্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুতা, সিনথেটিক স্ট্যাপল ফাইবার, পলিস্টার, পলিপ্রোপাইলিন, আর্টিফিশিয়াল ফাইবার এবং নাইলনের বিভিন্ন উপাদান। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সরকারের কাছে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়। চিঠিটি পাঠানো হয় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে।

চিঠিতে বলা হয়, অগ্রিম আয়কর সরকারের রাজস্ব আদায়ে তাৎক্ষণিক সুবিধা দিলেও এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এতে চলতি মূলধন সংকুচিত হয়ে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। খাতটিকে বাঁচাতে অবিলম্বে এই কর প্রত্যাহার করা জরুরি।

শুধু কর প্রত্যাহারই নয়, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল আরও কিছু সুপারিশও করেন। তিনি দেশীয় কল-কারখানায় উৎপাদিত তুলা, কৃত্রিম আঁশ ও অন্যান্য সংমিশ্রণের সুতার ওপর উৎপাদন পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা সুনির্দিষ্ট কর অব্যাহতির দাবি জানান।

বিটিএমএর তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে সংগঠনটির অধীনে রয়েছে ১,৮৫৮টি সুতাকল, উইভিং মিল এবং ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিং ইউনিট। খাতে মোট বিনিয়োগ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার। এই শিল্প একাই তৈরি পোশাক খাতের ৭০ শতাংশ সুতা ও কাপড়ের জোগান দিয়ে থাকে।