আপনি পড়ছেন

ন্যাটো মিত্র তুরস্কের কাছে ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান বিক্রির দীর্ঘদিনের জটিলতা অবসানের ইঙ্গিত দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস। বৃহস্পতিবার লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানান।

ফ্রিডরিখ মের্ৎস

দিনটিতে যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক ‘মৈত্রী চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। চ্যান্সেলর মের্ৎস বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা বাড়াবে।

সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, এই চুক্তিটি কি যৌথভাবে উৎপাদিত ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমানের মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিতে সহায়তা করবে এবং বার্লিন কি তুরস্কের কাছে সম্ভাব্য বিক্রির অনুমোদন দেবে? জবাবে চ্যান্সেলর মের্ৎস অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমরা রপ্তানি অনুমোদনপত্র নিয়েও আলোচনা করেছি। এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আমরা একটি ভালো সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছি, যা একটি সংশ্লিষ্ট রপ্তানি অনুমোদনপত্রকে সম্ভব করে তুলতে পারে।’ তবে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি নির্দিষ্ট কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, সে বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করবেন, এই মুহূর্তে আমি তা বলতে পারছি না।’

উল্লেখ্য, ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক শক্তির অধিকারী তুরস্ক ৪০টি ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহী। এই যুদ্ধবিমানগুলো যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও স্পেন যৌথভাবে তৈরি করে। যুক্তরাজ্য এই বিক্রির পক্ষে থাকলেও এবং জার্মানি ছাড়া বাকি সব সহযোগী দেশ সমর্থন দিলেও, জার্মানির আপত্তির কারণে চুক্তিটি কয়েক মাস ধরে আটকে ছিল। জার্মানির পূর্ববর্তী জোট সরকারের শরিক দল ‘দ্য গ্রিনস’-এর বিরোধিতার কারণে তখন এই বিক্রিতে আপত্তি জানানো হয়েছিল।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উল্লেখ করেন, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ এখন থেকে যৌথভাবে উৎপাদিত সামরিক সরঞ্জামের জন্য সম্মিলিত রপ্তানি কার্যক্রম চালাবে।

তিনি বলেন, ‘রপ্তানির প্রশ্নে আমরা আজ দীর্ঘ আলোচনা করেছি এবং আমরা আমাদের রপ্তানি কার্যক্রমগুলো আরও যৌথভাবে ও সমন্বিতভাবে পরিচালনা করতে চাই। এটি আমাদের উভয় দেশের জন্য এবং ইউরোপের জন্য একটি ভালো বিষয়।’

স্টারমার আরও বলেন, ‘আমরা কেবল এটি নিয়ে আলোচনাই করিনি, বরং এই প্রক্রিয়াকে আরও সমন্বিত, সংযুক্ত ও সহযোগিতামূলক করতে পদক্ষেপ নিতেও শুরু করেছি। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক এখন কতটা ঘনিষ্ঠ, এই সবকিছু তার আরও একটি প্রমাণ।’

বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটিকে ১৯৪৫ সালের পর দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি পররাষ্ট্র নীতি ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে গভীরতর সহযোগিতার পথ তৈরি করেছে এবং এতে সামরিক হামলার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তার একটি ধারাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২৩ পৃষ্ঠার এই চুক্তিটি প্রতিরক্ষা শিল্পে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার একটি কাঠামো তৈরি করেছে, যা সামরিক আন্তঃকার্যক্ষমতা, বিনিময়যোগ্যতা এবং একীভূতকরণ বাড়ানোর উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করবে। উভয় সরকার যৌথভাবে উৎপাদিত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি সহজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে, যা তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি পণ্যের আদান-প্রদানের জন্য একটি ‘নির্ভরযোগ্য কর্মসূচি’র গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.