গাজায় বেশ কয়েকটি মিশরীয় ত্রাণবাহী যানের প্রবেশ

রবিবার সকালে রাফাহ সীমান্ত পারাপার পথ দিয়ে মিশরের বেশ কয়েকটি ত্রাণবাহী যান গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। মিশরীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যানগুলোতে খাদ্য ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয় উপকরণসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।

মিশরের ‘আল কাহেরা নিউজ’ টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, কয়েক টন পণ্যবোঝাই বেশ কয়েকটি যান মিশরীয় ভূখণ্ড থেকে গাজার দিকে প্রবেশ করছে। এদিকে, ‘আল-আহরাম গেট’ নামের আরেকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি মিশরের ধারাবাহিক সমর্থনের অংশ হিসেবেই এই ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মিশরীয় ও আমিরাতি যানগুলোতে থাকা এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের উপকরণ রয়েছে। তবে মোট কতগুলো যান প্রবেশ করেছে বা পরবর্তী খেপে কখন ত্রাণ পাঠানো হবে, সে বিষয়ে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে গাজায় আসন্ন দুর্ভিক্ষ এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা সতর্ক করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দিতে বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই এই ত্রাণ পাঠানো হলো।

আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় এক নৃশংস অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এই অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৯,৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণে সমগ্র ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এ ছাড়া, গাজায় চালানো যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত।