ফ্রান্স: গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো সোমবার গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিশেষ করে খাদ্য সহায়তাপ্রত্যাশীদের ওপর হামলাকে তিনি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার আশি বছর পরেও আমরা এটা মেনে নিতে পারি না যে, বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশুরা যখন খাদ্য বিতরণের স্থানে যায়, তখন তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। এটি অগ্রহণযোগ্য’।

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে অগ্রগতির লক্ষ্যে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি তার সৌদি প্রতিপক্ষের সঙ্গে বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি বলেন, সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক দেশের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, গাজার যুদ্ধ শেষ করার এবং একটি রাজনৈতিক পথ বের করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মতৈক্য বাড়ছে। বারো বলেন, ‘এই সম্মেলনকে অবশ্যই একটি সন্ধিক্ষণ এবং যুগান্তকারী মোড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে’।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের অবশ্যই গাজার যুদ্ধের সমাপ্তি থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানের উপায় ও পন্থা নিয়ে কাজ করতে হবে’।

তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি উভয় পক্ষের শান্তি ও নিরাপত্তায় বসবাসের বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে।

তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ নীতির নজিরবিহীন গতিবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে’।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য, বারো এই সম্মেলনের কাঠামোর অধীনে প্রতিষ্ঠিত আটটি আন্তর্জাতিক কর্মগোষ্ঠীর কাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি জানান, এই কর্মগোষ্ঠীগুলোর কাজ হলো রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং মানবিক ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অবদান চিহ্নিত করা, যাতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়।

বারো বলেন, ‘এই যুদ্ধ অনেক দিন ধরে চলছে এবং এর অবশ্যই অবসান হওয়া উচিত। বন্দুকের গর্জন অবশ্যই থামাতে হবে এবং একটি অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করতে হবে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে’।