দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্মেলনকে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে বর্জন করল যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের লক্ষ্যে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ও ‘অপ্রয়োজনীয় প্রচারণা কৌশল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার দেশটি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই সম্মেলনে তারা অংশ নেবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এই আয়োজনকে ‘একটি প্রচারণামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এটি চলমান কূটনীতিকে ক্ষুণ্ন করার একটি প্রচেষ্টা’।

তিনি আরও বলেন, ‘এ সম্মেলন শান্তি এগিয়ে নেবে না বরং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করবে, হামাসকে আরও উৎসাহিত করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করবে।’ চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এর ফলে ব্যাহত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্মেলনের আয়োজকদের কঠোর সমালোচনা করে ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘এটি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামলার শিকারদের প্রতি একরকম অপমান এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি এক ধরনের পুরস্কার।’

একইসঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। এই পদক্ষেপকে তিনি ‘হামাসকে উৎসাহিত করার একটি ধারাবাহিক অপপ্রয়াস’ বলে আখ্যায়িত করেন।

উল্লেখ্য, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ আয়োজনে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হলো, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা। এ লক্ষ্যে আটটি পৃথক কর্মী দল গঠন করা হয়েছে, যারা সংঘাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।

এমন এক সময়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের কারণে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ৫৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।