ব্যর্থ ইসরায়েল, গাজার মানবিক সহায়তার দায়িত্ব নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

গাজার মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ইসরায়েল এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

সংবাদমাধ্যমটির উদ্ধৃত সূত্রমতে, সোমবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বিশেষ দূত উইটকফের গাজা সফরের পর এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। গাজায় তিনি পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই দায়িত্ব নিতে ‘খুব একটা আগ্রহী নন’, তবে তার মতে, ‘অন্য কোনো উপায় আছে বলেও মনে হচ্ছে না’। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করার কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা বলেন: ‘গাজায় খাদ্যাভাব পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা পছন্দ করছেন না। তিনি চান না শিশুরা না খেয়ে মারা যাক’।

সূত্র জানিয়েছে, কাতারসহ উপসাগরীয় দেশগুলো এই উদ্যোগে অর্থায়ন করবে এবং জর্ডান ও মিশরও ‘অংশগ্রহণ করতে পারে’।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেল আবিব মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত ভূমিকাকে সমর্থন করে।

উল্লেখ্য, মার্কিন সমর্থনে গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠিত ‘বিতর্কিত গাজা মানবিক সহায়তা ফাউন্ডেশন’ বর্তমানে ওই উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে। মে মাসের শেষ দিকে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই ফাউন্ডেশনের অধীনে ত্রাণ নিতে গিয়ে ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে, গত বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে অন্তত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৪ জনই শিশু। এছাড়া, ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে সামগ্রিকভাবে ৬১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।