জেলেনস্কি: পুতিনের দাবি মানা আত্মসমর্পণের শামিল

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি মেনে নেওয়াকে ‘আত্মসমর্পণের শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, একজন হত্যাকারীকে ছাড় দিয়ে যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয় এবং এতে সংঘাতের অবসান হবে না। আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠকের আগে সোমবার (১১ আগস্ট) তিনি এ মন্তব্য করেন।

আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে অন্তর্ভুক্ত না করায় ইউক্রেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিয়েভ আশঙ্কা করছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে এমন কোনো চুক্তি হতে পারে, যেখানে ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হবে।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘রাশিয়া হত্যাকাণ্ড থামাতে নারাজ। তাই তাদের কোনো পুরস্কার বা সুবিধা দেওয়া উচিত নয়। এটি কেবল নৈতিক অবস্থানই নয়, বরং যৌক্তিকও।’ তিনি তার বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে কোনো হত্যাকারীকে নিবৃত্ত করা যায় না।’

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও সোমবার এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন এবং ইউক্রেনকে ছাড়া কোনো সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে তারা আলোচনা করেন। অনেক ইউরোপীয় দেশই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে কোনো চুক্তি হলে তা তাদের একটি অগ্রহণযোগ্য সমঝোতার দিকে ঠেলে দেবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করেছে। সম্প্রতি তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের ফেদোরিভকা গ্রাম দখলেরও দাবি জানিয়েছে।

একই সঙ্গে, উভয় পক্ষই সম্প্রতি বিমান হামলা বাড়িয়েছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার নিঝনি নভগোরড অঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় রুশ কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এই হামলায় একজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।