শিক্ষার্থীদের ৫ দফা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখ প্রকাশসহ নতুন দাবি

স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টা শাহবাগে এসে দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকৌশল ডিগ্রির স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের পর আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তারা। এই ঘটনায় অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা ৫ দফা নতুন দাবি ঘোষণা করেন এবং আল্টিমেটাম দেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম এবং শিক্ষা উপদেষ্টাকে শাহবাগে এসে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরেন।

দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে—শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দুঃখ প্রকাশ ও জবাবদিহি করা, হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন এবং সরকারের গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন।

এর আগে, ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নেন। দুপুর দেড়টার দিকে তারা পদযাত্রা শুরু করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন, যা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, যা পুরো এলাকাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করে।

এ বিষয়ে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করায় তীব্র জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছিল। তাদের কয়েকবার সরে যেতে অনুরোধ করা হলেও তারা শোনেনি।’

শিক্ষার্থীদের প্রায় ৭ ঘণ্টার অবরোধে শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় র‍্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।