ডাচদের উড়িয়ে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ

সিলেটে নাসুম আহমেদের স্পিন ঘূর্ণিতে শুরুতেই পথ হারায় নেদারল্যান্ডস। পরে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের গতিতে দিশেহারা ডাচরা অলআউট হয় মাত্র ১০৩ রানে। মামুলি এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের অপরাজিত অর্ধশতকে দাপুটে এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করল লিটন দাসের দল।

মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারী দলের ব্যাটাররা। ৮১ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল তারা। তবে শেষ দিকে আরিয়ান দত্তের ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে দলীয় স্কোর একশ ছাড়ায়। এছাড়া ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান।

বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাসুম আহমেদ। ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব।

১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ তামিম ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। ২৩ রান করে ইমন আউট হলেও অধিনায়ক লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন তানজিদ। এই জুটি অবিচ্ছিন্ন ৬৪ রান যোগ করে দলের জয় নিশ্চিত করে।

দারুণ ব্যাটিংয়ে তানজিদ তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্য প্রান্তে লিটন ১৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৩.১ ওভারেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় স্বাগতিকরা।

এই জয়ে অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের এটি চতুর্থ সিরিজ জয়। সব মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের টানা তৃতীয় সিরিজ জয়। আসন্ন এশিয়া কাপের আগে এমন পারফরম্যান্স দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।