ইইউর সম্প্রসারণ এখন ‘ভূ-রাজনৈতিক অপরিহার্যতা’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সম্প্রসারণ এখন একটি ‘ভূরাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা’ হয়ে উঠেছে এবং গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। মঙ্গলবার ইউরোপীয় কমিশন এ কথা জোর দিয়ে বলেছে।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ইউরোপীয় বিষয়াবলী সংক্রান্ত মন্ত্রীদের এক অনানুষ্ঠানষ্ঠানিক বৈঠকের পর ডেনিশ মন্ত্রী মারি বিয়েরা জানান, ইইউ সম্প্রসারণকে এখন নতুন আঙ্গিকে দেখা হচ্ছে, যা সরাসরি ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, ‘এতে নতুন গতি এসেছে। এটি এখন কেবল একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় নয়। আমাদের সম্প্রসারণ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এটি একটি ভূরাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তা, কারণ আমাদের আরও শক্তিশালী, আরও নিরাপদ এবং আত্মরক্ষায় সক্ষম একটি ইইউ প্রয়োজন। আর এই ভবিষ্যতের জন্য সম্প্রসারণ অপরিহার্য।’

বিয়েরা জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ইইউ সম্প্রসারণকে ‘সম্ভবত আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আজ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, একটি শক্তিশালী ইইউকে অবশ্যই আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হতে হবে।

ইইউর সম্প্রসারণ বিষয়ক কমিশনার মার্তা কস বলেন, এই আলোচনা সম্প্রসারণকে ‘ইউরোপের কর্মসূচির শীর্ষে’ স্থান দিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি ‘ইউরোপের একীকরণের’ বিষয়ও বটে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আজ আমার বার্তা হলো, আমাদের ইউনিয়নের দরজা খোলা এবং যারা কোপেনহেগেন মানদণ্ড সম্পূর্ণ, ন্যায্য এবং স্বচ্ছভাবে পূরণ করবে, তাদের জন্য এই দরজা খোলাই থাকবে। আমিও আশাবাদী। গত ১৫ বছরের মধ্যে পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।’

তিনি মন্টিনিগ্রো এবং আলবেনিয়াকে এই প্রক্রিয়ায় ‘অগ্রগামী’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং জানান যে ইউক্রেন ও মলদোভা আলোচনার সমস্ত ধাপের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে এনেছে।

বর্তমানে আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মলদোভা, মন্টিনিগ্রো, উত্তর মেসেডোনিয়া, সার্বিয়া, তুরস্ক এবং ইউক্রেন ইইউর সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রার্থী। জর্জিয়া ২০২৩ সালে প্রার্থীর মর্যাদা পেয়েছে এবং কসোভোকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।