আপনি পড়ছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া এবং শহরজুড়ে ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। শনিবার অনুষ্ঠিত এই পদযাত্রাটি সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে হওয়া অন্যতম বৃহৎ বিক্ষোভ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ছবি - সংগৃহীত

‘উই আর অল ডিসি’ বা ‘আমরা সবাই ডিসির বাসিন্দা’ শিরোনামের এই পদযাত্রায় বিভিন্ন অধিকারকর্মী গোষ্ঠী, নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর একটি জোট একত্রিত হয়। বিক্ষোভকারীরা মেরিডিয়ান হিল পার্ক থেকে হোয়াইট হাউসের কাছে ফ্রিডম প্লাজা পর্যন্ত দুই মাইলের বেশি পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দেন। এসময় তারা ‘সৈন্যরা বাড়ি যাও’ বলে স্লোগান দেন এবং ‘ডিসির দখলদারিত্ব বন্ধ করো’ ও ‘ট্রাম্পকে এখনই যেতে হবে’ লেখা ব্যানার বহন করেন।

সমাবেশে বক্তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর টহলের তীব্র নিন্দা জানান। তারা সতর্ক করে বলেন, ওয়াশিংটনের অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা না থাকায় শহরটি ফেডারেল সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। ডিসি কাউন্সিলের সদস্য জেনিস লুইস জর্জ স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়ে বলেন, এই শহর ‘বর্জন করে না, সবাইকে গ্রহণ করে’। তিনি বাসিন্দাদের অধিকার রক্ষায় পূর্ণাঙ্গ রাজ্য মর্যাদা দাবি করেন।

শ্রমিক নেতা ও অভিবাসী অধিকারকর্মীরা সহ অন্যান্য বক্তারা কৃষ্ণাঙ্গ ও অশ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায় এবং স্থানীয় ব্যবসার ওপর এই সেনা উপস্থিতির নেতিবাচক প্রভাবের সমালোচনা করেন। একজন অধিকারকর্মী একটি শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা আমাদের অস্তিত্বকে অপরাধ হিসেবে দেখছে এবং আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়’। তিনি অভিবাসী সম্প্রদায়কে ‘অপহরণ ও আটক’ করা এবং প্রশাসনের ‘বর্ণবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল আচরণের’ সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘অংশগ্রহণ ও আত্মসমর্পণের’ নিন্দা জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ১১ আগস্ট রাজধানীতে অপরাধজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তিনি মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দেন এবং রিপাবলিকান-শাসিত রাজ্যগুলো থেকে আনা সেনাসহ দুই হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেন। তার প্রশাসন জানিয়েছে, এই অভিযানের ফলে প্রায় দুই হাজার জনকে গ্রেপ্তার, ২০০টির মতো আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ এবং কয়েক ডজন গৃহহীন মানুষের আশ্রয় শিবির উচ্ছেদ করা হয়েছে।

তবে, নগর কর্মকর্তারা এমন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তথ্যে দেখা যায়, ফেডারেল হস্তক্ষেপের আগেই শহরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমতে শুরু করেছিল এবং গত বছরের তুলনায় সহিংস ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ দুটোই কমেছে। এই পুলিশি অভিযানের সময় মামলা পরিচালনার ধরন নিয়ে বিচার বিভাগ ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগ আনা এবং তাদের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে। ডিসির অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শোয়ালব এই সেনা মোতায়েনকে অসাংবিধানিক দাবি করে তা ঠেকানোর জন্য চলতি সপ্তাহে একটি মামলা করেছেন।

এই পদযাত্রা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট-শাসিত অন্যান্য শহরেও ফেডারেল অভিযান সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেসে সেনা মোতায়েনের মতো করে শিকাগোতেও ন্যাশনাল গার্ড ও অভিবাসন প্রয়োগকারী দল পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটস্কার এই হুমকির নিন্দা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ হতে চাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন।

শনিবারের সমাবেশটি ফ্রিডম প্লাজায় শেষ হয়, যেখানে বক্তারা শহরে ফেডারেল দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আরও বিক্ষোভের অঙ্গীকার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.