মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীর দাফন সম্পন্ন

নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগী শরিফ সাহেদ বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের লাশ দাফন করা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টায় হান্নান ও বিপুলের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। ১০টা এক মিনিটে কার্য করা হয় রিপনের ফাঁসি।

ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের পর কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে এই তিনজনের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। ফাঁসির আগেই কারাগারে এনে রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্স, নেয়া হয় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মুফতি হান্নানকে দাফন করা হয় গোপালগঞ্জে তার নিজের গ্রামে। আজ ভোর ছয়টার দিকে দাফন করা হয় তাকে। এর আগে গতকাল বিকেলে মুফতি হান্নানের গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। রাতে ফাঁসি কার্যকরের পর তারা মিষ্টি বিতরণ করেছে বলে জানা যায়। মুফতি হান্নানের জানা পড়ান তার বড় ভাই মাওলানা অলিউল্লাহ। জানাজায় মুফতি হান্নানের ছেলে ও প্রতিবেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটায় দাফন করা হয় শরিফ সাহেদ বিপুলকে। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরে। তার আগে বিপুলের বাবা হেমায়েত উদ্দিন পাটওয়ারী ছেলের লাশ বুঝে নেন। বিপুলের জানাজা পড়ান মাওলানা হেলাল উদ্দিন পাটওয়ারী।

রাত দুইটার আগে আগে দাফন করা হয় দেলোয়ার হোসেন রিপনকে। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারে। রিপনের জানাজার আগে, তার বাড়িরদ দুই কিলোমিটারের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুজন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন মারা যান। আহত ৪০ জন। ওই ঘটনার মামলায়ই আদালত মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগীকে ফাঁসির দণ্ড দেন। পরে আসামীরা রিভিউ করেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন।

এরপর আসামীদের শেষ সুযোগ ছিলো রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। নিয়ম মেনে তারা সেটা করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন নাকচ করে দেন। এর কয়েকদিনের মাথায় এই তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হলো।