সালাহউদ্দিন: জামায়াত জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলে নির্বাচনে দেরি কেনো?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রশ্ন তুলেছেন, জামায়াত যদি এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয় যে তারা সরকার গঠন করবে, তবে কেনো নানা অজুহাত দিয়ে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে?

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক যুব সংলাপে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। এসময় তিনি জামায়াতের দ্বিমুখী অবস্থান নিয়েও সমালোচনা করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, গতকাল (শুক্রবার) জামায়াতসহ কয়েকটি দলের সমাবেশ হয়েছে। আজ কিছু পত্রিকার শিরোনামে এসেছে, জামায়াত নেতারা নাকি বলেছে তারা সরকার গঠন করবে, বিএনপি বিরোধী দলে যাবে। কিন্তু সরকার গঠন করবে কে? আপনারা, না জনগণ? এত আত্মবিশ্বাস থাকলে নির্বাচনেই নামুন, নানান বাহানা দিয়ে কেন নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন?

তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামায়াতের প্রকৃত উদ্দেশ্য জাতীয় নির্বাচনকে ভেস্তে দেওয়া। আমরা কয়েক দিনের মধ্যেই জনগণকে জানাবো, তাদের আসল পরিকল্পনা কী।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত একদিকে জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোটকে নিষিদ্ধ করার দাবি করছে, অথচ একই সঙ্গে তারা এমন একটি দলের সঙ্গে মিছিল করছে যারা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল শেখ হাসিনার আমলে।

তিনি বলেন, তাহলে কি তাদের সঙ্গে নামলেই তারা নির্দোষ? বাকি ২৮টি দল যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে তথাকথিত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তারা কি তবে অপরাধী? এই নীতি ঠিক নয়।

ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও অতীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালের নির্বাচন ছাড়া।

সালাহউদ্দিন বলেন, ভিন্নমত গণতন্ত্রের অংশ। যেকোনো দল আন্দোলন করতে পারে। তবে এসব ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হওয়া উচিত। আমরা সবসময় বলেছি, আলোচনার টেবিলে সমাধান সম্ভব। তবে যদি শুধু চাপ সৃষ্টি করতেই আপনারা রাস্তায় নামেন, আমরাও নামতে বাধ্য হবো। এটা কি আমরা চাই?

তিনি আরও বলেন, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বদলেছে। এখন দলগুলোর উচিত জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকা।

সালাহউদ্দিন প্রস্তাব দেন, দলগুলো তাদের দাবি-দাওয়াগুলো নির্বাচন ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করুক। যদি জনগণ আপনাদের পক্ষে রায় দেয়, তখনই তা বাস্তবায়ন করুন। এটাই গণতান্ত্রিক পথ।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, কয়েক হাজার মানুষের মিছিল বা সমাবেশে কি জনগণের রায় ছাড়া আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব? সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।