২০২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা নিশ্চিত করলেন এরদোগান

নতুন সংবিধানের আওতায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের ক্ষমতা আরও আগেই বাড়ানো হয়েছিলো। দেশটির পার্লামেন্ট নতুন সংবিধানের প্রাথমিক অনুমোদন দেয়ার পরও গণভোটের মাধ্যমে তা অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল মাত্র। শেষ পর্যন্ত তাও হয়ে গেলো।

নতুন সংবিধান পাকাপোক্ত করতে তুরস্কে দ্বিতীয় দফার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন বোর্ড। এর ফলে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের ক্ষমতা আরও অনেক বৃদ্ধি পেলো।

গণভোটে নতুন এ সংবিধান অনুমোদিত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের হাতে মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়োগ ও বরখাস্ত করার করার ক্ষমতা চলে এলো। ফলে এখন চাইলেই এরদোগান দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলোপ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে একটি ভাইস প্রেসিডেন্টের পদের সৃষ্টি করা হবে। এছাড়া রিসেপ তায়িপ এরদোগান আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গণভোটের ফলাফল সবাইকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তুরস্কের প্রধান দুটি বিরোধী দল গণভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে।

বিরোধী দল দুটির বক্তব্য, নিজের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ এবং পাকাপোক্ত করতেই এই পরিবর্তন এনেছেন এরদোগান। তারা বলছেন, এরদোগান ধীরে ধীরে একজন স্বৈরশাসকে পরিণত হচ্ছেন।

তবে প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সংবিধানের সাথে মিল রেখেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।