জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন একটি ভাসমান গ্রহ আবিষ্কার করেছেন যা অভূতপূর্ব গতিতে গ্যাস ও ধূলিকণা শোষণ করে বড় হচ্ছে। গবেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত কোনো গ্রহের রেকর্ড করা সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির ঘটনা, যেখানে গ্রহটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ কোটি টন পদার্থ নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার ‘দি অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’ নামক এক বিজ্ঞান সাময়িকীতে এই আবিষ্কারের বিষয়টি প্রকাশিত হয়।

ছবি - সংগৃহীত

এই আবিষ্কারটি নক্ষত্রবিহীন বা মুক্তভাবে ভাসমান গ্রহগুলো কীভাবে গঠিত হয় এবং বিকশিত হয়, সে সম্পর্কে নতুন ধারণা দেবে। ‘শা ১১০৭-৭৬২৬’ নামের এই গ্রহটির ভর বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি এবং এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬২০ আলোকবর্ষ দূরে ক্যামেলিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত।

চিলিতে অবস্থিত ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির ‘ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ’ (ভিএলটি) থেকে পাওয়া পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে এই তরুণ গ্রহটির পদার্থ শোষণের হার আট গুণ বেড়ে গেছে।

এই গবেষণার প্রধান লেখক, ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের ভিক্টর আলমেনড্রোস-আবাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ গ্রহকে শান্ত এবং স্থিতিশীল জগৎ হিসেবে মনে করতে পারে, কিন্তু এই আবিষ্কার দেখাল যে মহাকাশে মুক্তভাবে ভাসমান গ্রহগুলোও অত্যন্ত সক্রিয় ও উত্তেজনাকর হতে পারে।

ভাসমান গ্রহ শনাক্ত করা বেশ কঠিন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কারটি নক্ষত্র এবং গ্রহের মধ্যেকার সীমানাকে অস্পষ্ট করে দিয়েছে। কারণ, এর আগে নক্ষত্রের ক্ষেত্রেই এমন দ্রুত পদার্থ শোষণের ঘটনা দেখা গেছে। গবেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন, গ্রহটির চৌম্বকীয় কার্যকলাপ সম্ভবত এই ব্যাপক পদার্থ পতনের পেছনে কাজ করেছে, যা আগে শুধুমাত্র নক্ষত্রের মধ্যে পরিলক্ষিত একটি প্রক্রিয়া ছিল।

গবেষক দলটি নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এবং ভিএলটি-র পূর্ববর্তী তথ্যও ব্যবহার করেছে। তারা গ্রহটিকে ঘিরে থাকা চাকতির রাসায়নিক গঠনে পরিবর্তন শনাক্ত করেছেন। বৃদ্ধির এই উল্লম্ফনের সময় সেখানে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি দেখা গেলেও আগে তা ছিল না। কোনো গ্রহে এমন ঘটনা এবারই প্রথম পর্যবেক্ষণ করা হলো।

গবেষণার সহ-লেখক এবং ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যামেলিয়া বায়ো জানিয়েছেন, একটি গ্রহের নক্ষত্রের মতো আচরণ করার ধারণাটি বিস্ময়কর এবং এটি আমাদের ভাবতে উৎসাহিত করে যে আমাদের সৌরজগতের বাইরের জগৎগুলো তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে কেমন হতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ফলাফলগুলো ভাসমান গ্রহগুলো নক্ষত্রের মতো তৈরি হয়, নাকি সেগুলো আসলে কোনো নক্ষত্র ব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়া বিশাল গ্রহ, তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.