শহিদুল আলম: ফ্রিডম ফ্লোটিলার ৯ নৌযান গাজার পথে এগোচ্ছে

ফ্রিডম ফ্লোটিলার কনশানস নৌযানসহ আন্তর্জাতিক নৌবহর এখন একযোগে গাজা অভিমুখে এগোচ্ছে। নৌবহরের কনশানস জাহাজটির দ্রুতগতির কারণে এটি আগে রওনা হওয়া আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছিল, যা পরে কনশানসের গতি কমিয়ে ঠিক করা হয়েছে।

নৌবহরের একজন সদস্য, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন, সব নৌযান এখন একসাথে নিরাপদে এগোচ্ছে। কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। এফএফসি গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর এবং ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙার জন্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার যৌথ উদ্যোগের অংশ। তবে এই নৌবহরে কোনো খাদ্যসামগ্রী নেই।

শহিদুল আলম ফেসবুকে লিখেছেন, থাউজেন্ড ম্যাডলিনস একটি অবিস্মরণীয় ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও কপট ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষই পদক্ষেপ নিয়েছে। হাজারো জাহাজের এই যৌথ পদক্ষেপ প্রতীকী হলেও এটিই সবচেয়ে বড় সমুদ্রযান বহর।

কনশানস নৌযানটি বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ এবং ইতালি থেকে সর্বশেষ রওনা দিয়েছিল। শহিদুল আলম জানিয়েছেন, যদিও এটি শেষ রওনা দিয়েছিল, দ্রুতগতির কারণে পূর্বে রওনা হওয়া আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছিল, পরে গতি কমিয়ে সব নৌযান একসঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।

নৌবহরের পক্ষ থেকে গাজার অবরোধ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করা হয়েছে। শহিদুল আলম বলেন, আমরা কনশানসের মানুষরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদি আমাদের আটকানো হয়, অন্যান্য নৌযান এগিয়ে আসবে। দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারে না। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কনশানস নৌযানটিতে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এফএফসির এই মিশন শুরু হয় গত বুধবার এবং এটি আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিকিৎসকবাহী নৌযান হিসেবে ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজা অভিমুখে যাত্রা করেছে।

ইসরায়েল গত দুই বছর ধরে বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। একই সময়ে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০-এর বেশি সাংবাদিক নিহত, অনেকে আটক ও কারাগারে বন্দী।