ইসরায়েলি কারাগারে মার্কিন কিশোর, মুক্তি দাবি ২৭ আইনপ্রণেতার

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে বিনা বিচারে আটক এক মার্কিন কিশোরের মুক্তি নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। মঙ্গলবার ২৭ জন সিনেটর ও প্রতিনিধির স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়, যেখানে বলা হয়েছে ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোর গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আটক রয়েছে।

চিঠিতে আইনপ্রণেতারা ফ্লোরিডায় জন্মগ্রহণকারী ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোর মোহাম্মদ জাহের ইব্রাহিমের আটকাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিকে তারা জানিয়েছেন, এই আমেরিকান কিশোরের দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ক্রিস ভ্যান হলেন, অ্যাডাম স্কিফ, বার্নি স্যান্ডার্স এবং এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অধিকৃত পশ্চিম তীরের আল-মাজরা আশ-শারকিয়ায় অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে ইব্রাহিমকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে তাকে আটক করা হলেও ইসরায়েল এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি।

আইনপ্রণেতারা চিঠিতে জানান, আটকের পর থেকে ইব্রাহিমকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। তার শরীরের ওজন প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমে গেছে এবং সে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তারা ২০২৫ সালের মার্চে মেগিদ্দো কারাগারে ফিলিস্তিনি কিশোর ওয়ালিদ আহমাদের (১৭) মৃত্যুর ঘটনাটিও উল্লেখ করেন। ওয়ালিদকে পাথর ছোড়ার অভিযোগে বিনা বিচারে ছয় মাস আটক রাখার পর তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতন, চরম অপুষ্টি এবং চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছিল।

চিঠির শেষে আইনপ্রণেতারা বলেন, তাদের বারবার বলা হয়েছে যে, ‘বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেই।’