ট্রাম্প: কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে মাদকবিরোধী সামরিক অভিযান হবে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বিদেশে মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন বা যুদ্ধ ঘোষণার কোনো প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, তার প্রশাসন দেশের অভ্যন্তরে মাদক প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার মাছ ধরার নৌকায় কয়েকটি প্রাণঘাতী সামরিক হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। কোনো প্রমাণ ছাড়াই তিনি দাবি করেন, এসব নৌকা মাদক পাচারে জড়িত ছিল। এর আগে মার্কিন প্রশাসন সাধারণত সন্দেহভাজন জাহাজ থামিয়ে তল্লাশি চালাত, কিন্তু সরাসরি হামলা চালিয়ে সেগুলো ধ্বংস করত না।

ট্রাম্প আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান শুধু সমুদ্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং স্থলভাগেও হতে পারে। তিনি যোগ করেন, স্থল অভিযানের আগে কংগ্রেসকে জানানো হবে, তবে আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো বিরোধিতার আশঙ্কা করছেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বি-১ ল্যান্সার বোমারু বিমান উড়ে যাওয়ার খবরের পর তার এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প বিমান পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করলেও ভেনেজুয়েলা সরকারের বিরুদ্ধে ‘যুক্তরাষ্ট্রে কয়েদি পাঠানোর’ অভিযোগ তোলেন।

হোয়াইট হাউসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই তথ্য সঠিক নয়। এটি মিথ্যা।’ তবে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কারণেই ভেনেজুয়েলার ওপর খুশি নই, যার মধ্যে মাদক একটি। বাইডেন প্রশাসনের সময় থেকে তারা বছরের পর বছর ধরে তাদের কয়েদিদের আমাদের দেশে পাঠাচ্ছে।’

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন মাদক পাচারবিরোধী অভিযানের অংশ। অন্যদিকে, কারাকাস সতর্ক করে বলেছে, এটি সেদেশে সরকার পরিবর্তনের একটি প্রচেষ্টা হতে পারে।

সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ঘোষণা দিয়েছেন, তার দেশ আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে রাশিয়ায় তৈরি ৫,০০০ ইগলা-এস বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে।

মাদুরো ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভেনেজুয়েলার জনগণের ‘শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো সামরিক শক্তি ইগলা-এস-এর ক্ষমতা সম্পর্কে জানে এবং ভেনেজুয়েলার কাছে অন্তত ৫,০০০ এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।’