আপনি পড়ছেন

গাজার ভূমিতে ছড়িয়ে থাকা অবিস্ফোরিত বোমা ও গোলাবারুদ পরিষ্কার করতে প্রায় দুই থেকে তিন দশক সময় লেগে যেতে পারে। একটি সাহায্য সংস্থার বিশেষজ্ঞের মতে, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের কারণে পুরো এলাকাটি একটি ‘ভয়াবহ ও অপরিমাপযোগ্য মাইনফিল্ডে’ পরিণত হয়েছে।

গাজার একটি চিত্র

‘হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুসন’ নামের সাহায্য সংস্থার বিস্ফোরক অস্ত্রশস্ত্র নিষ্কাশন বিশেষজ্ঞ নিক অর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘গাজার পুরো এলাকা থেকে ভূগর্ভস্থ সবকিছু পরিষ্কার করা কখনোই সম্ভব হবে না। কারণ অনেক বিস্ফোরক ভূগর্ভে ঢুকে গেছে। আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এসব খুঁজে পাব।’ তিনি আরও যোগ করেন, কেবল ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ পরিষ্কারের কাজ একটি প্রজন্মের মধ্যে শেষ করতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছর সময় লেগে যেতে পারে। এটি একটি বিশাল সমস্যার খুব সামান্য অংশ মোকাবিলার মতো হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধবিরতির পর থেকে এ পর্যন্ত অবশিষ্ট বিস্ফোরকে ৫৩ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন একটি তথ্যভান্ডারে এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হলেও সাহায্য সংস্থাগুলোর ধারণা, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় লাখ লাখ টন ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এই বিপজ্জনক বিস্ফোরকগুলো সরানোর কাজ শুরু করার আশা দেখা দিয়েছে। অর জানিয়েছেন, তার সংস্থার সাত সদস্যের একটি দল হাসপাতাল, বেকারি এবং অন্যান্য অপরিহার্য অবকাঠামোতে থাকা যুদ্ধের অবশেষ চিহ্নিত করার কাজ শুরু করবে।

তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল তার মতো সাহায্য সংস্থাগুলোকে এসব বিস্ফোরক অপসারণ ও ধ্বংস করার অনুমতি দেয়নি। এমনকি, এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানির অনুমতিও তারা পায়নি বলে অর জানান। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গাজায় সাহায্য কার্যক্রম তদারককারী ইসরায়েলি সামরিক শাখা কোগাট কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরায়েল সাধারণত এমন সব জিনিসের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে, যা সামরিক ও বেসামরিক উভয় কাজেই ব্যবহার করা যায়।

নিক অর জানান, তারা বিস্ফোরক ধ্বংস করার জন্য বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। এতে হামাস বা অন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে এসব উপকরণ পুনরায় ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

তিনি একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় উল্লিখিত অস্থায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘যদি গাজায় কোনো ভবিষ্যৎ থাকে, তাহলে মানবিক কর্মীদের কাজ করতে দেওয়ার জন্য একটি নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.