গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশে ইসরায়েলি বাধা অব্যাহত, নীতি পর্যালোচনার আশ্বাস

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতি পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলি সরকার। রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের জবাবে সরকার জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যে নীতিটি পর্যালোচনা করে আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে একটি হালনাগাদ তথ্য জমা দেওয়া হবে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সাংবাদিকদের প্রবেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে কয়েকটি আবেদন দায়ের হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আদালতের কাছে দেওয়া সরকারি জবাবে বলা হয়েছে, নীতি হালনাগাদ না হওয়া পর্যন্ত তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র ভেতরের অংশ ছাড়া গাজার অন্য কোনো এলাকায় সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন না। এই ‘হলুদ রেখা’ হলো একটি কাল্পনিক বিভাজন রেখা, যা গাজায় বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনীর দখলকৃত এলাকা এবং যেসব এলাকা থেকে তারা সরে এসেছে, সেগুলোকে আলাদা করে।

গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা অব্যাহত রাখার অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে হতাশা প্রকাশ করে।

ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং গণমাধ্যম সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গাজায় সংঘটিত নৃশংসতা গোপন করার উদ্দেশ্যেই ইসরায়েল সাংবাদিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৩৮ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনার অধীনে গত ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। এই ধাপের মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া এই পরিকল্পনায় হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার পুনর্গঠন এবং একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথাও উল্লেখ আছে।