রাশিয়ার সঙ্গে আরও ‘দুই-তিন বছর’ লড়তে প্রস্তুত ইউক্রেন!

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাকে বলেছেন যে কিয়েভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও ‘দুই থেকে তিন বছর’ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। রবিবার দ্য সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানান।

টাস্ক বলেন, জেলেনস্কির সঙ্গে তার এই কথোপকথনটি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইউরোপের প্রতি রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়টি প্রাধান্য পায়। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই যে ইউক্রেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকবে।’

পোলিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আমাদের আরও কত প্রাণহানি দেখতে হবে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আমাকে বলেছেন যে তিনি আশা করেন যুদ্ধটি ১০ বছর স্থায়ী হবে না, তবে ইউক্রেন আরও দুই বা তিন বছর লড়াই করার জন্য প্রস্তুত।’

টাস্ক সতর্ক করে বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করা রাশিয়া দীর্ঘমেয়াদে ‘নাটকীয়’ অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হলেও দেশটির তেল খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা এখনো তাদের সামরিক সংকল্পকে দুর্বল করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ানরা সত্যিই গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে আছে। তার মানে কি এই যে আমরা জিতছি? একেবারেই না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পশ্চিমের তুলনায় তাদের একটি বড় সুবিধা হলো, তারা যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।’ মস্কোর আগ্রাসন সম্পর্কে বছরের পর বছর ধরে দেওয়া সতর্কতার কথা স্মরণ করে টাস্ক বলেন, তিনি এক ধরনের ‘তিক্ত সন্তুষ্টি’ অনুভব করছেন।

তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমরা ইউরোপে ভ্রমের যুগের অবসানের কথা বলছি। সব হুমকির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হয়তো পেরিয়ে গেছে, কিন্তু টিকে থাকার জন্য এখনো দেরি হয়নি।’

সাক্ষাৎকারে টাস্ক অভিবাসন প্রসঙ্গও তোলেন এবং গণ অভিবাসনকে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় সনদ নতুন করে পর্যালোচনার আহ্বান জানান, যাতে সরকারগুলো দোষী সাব্যস্ত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের নির্বাসিত করার ক্ষেত্রে আরও বেশি স্বাধীনতা পায়।